প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বাৎসরিক ছুটি কমিয়ে ৬০ দিন করা হবে: ডিজি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:১৩ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদানের সময় বাড়াতে ছুটির ক্যালেন্ডারে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। আগে যেখানে ৭৮ দিনের ছুটি ছিল, তা কমিয়ে এবার ৬০ দিনে নামিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবু নূর মো. শামসুজ্জামান।

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সাতক্ষীরায় আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এ তথ্য জানান।

জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) কারিগরি সহযোগিতায় ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মশালায় জেলার ৪০ জন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অংশ নেন।

আবু নূর মো. শামসুজ্জামান বলেন, দেশের স্কুলগুলো বছরে মাত্র ১৭৯ দিন খোলা থাকে। শিক্ষার্থীদের পাঠদানের সুযোগ বাড়াতে ছুটি কমানো হচ্ছে। এতে তারা আরও বেশি সময় ক্লাসে থাকতে পারবে।

স্কুলের আশপাশে অস্বাস্থ্যকর খাবারের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রায় প্রতিটি স্কুলের চারপাশে ঝালমুড়ি, ফুচকা, চটপটি, আইসক্রিমের দোকান সারি সারি দেখা যায়। এসব খাবারে কোনো স্বাস্থ্যবিধি মানা হয় না। এক বালতি পানি দিয়েই সারাদিনের সব কাজ সারছেন বিক্রেতারা। অথচ শিশুরা সেগুলো খাচ্ছে। সামর্থ্যবানরা তথাকথিত জাঙ্কফুড খাওয়াচ্ছেন, যেখানে কেমিক্যাল মেশানো হয়।

মহাপরিচালক শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, শুধু খাবারের প্রাপ্যতা নয়, নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে হবে। ফুড সিকিউরিটি ও ফুড সেফটি দুটো বিষয়ই সমান গুরুত্বপূর্ণ।

প্রশিক্ষণে শিশুদের জন্য নিরাপদ খাদ্যের মৌলিক ধারণা, স্বাস্থ্যবিধি, করণীয়-বর্জনীয় ও হাত ধোয়ার সঠিক পদ্ধতি শেখানো হয়। এখন থেকে শিক্ষকরা নিয়মিত শ্রেণিকক্ষে এসব বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতন করবেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জাকারিয়া। তিনি বলেন, সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে দুটি বিষয় জরুরি। যে খাদ্য গ্রহণ করবো তা যেন নিরাপদ হয় এবং জীবনযাপনে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়। এগুলো মানা না হলে চিকিৎসক যতই চেষ্টা করুন, সুস্বাস্থ্য পাওয়া সম্ভব নয়।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোস্তাক আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এসটিআইআরসি প্রকল্পের পরিচালক শ্রাবস্তী রায়, প্রকল্পের টিম লিডার আতসুশি কইয়ামা।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. রুহুল আমীন, জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার দীপংকর দত্ত।

এএএইচ/ইএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।