শাহবাগে রাত কাটাচ্ছেন শিক্ষক নিয়োগে সুপারিশবঞ্চিতরা
‘বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি’ জারিসহ দুই দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছে শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ণ হয়েও ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগবঞ্চিত প্রার্থীরা।
দিনভর বিক্ষোভ-সমাবেশের পর রোববার (১২ অক্টোবর) দিনগত রাতেও তারা শাহবাগে অবস্থান করেন।
আন্দোলনকারীদের দাবি, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যে বিপুলসংখ্যক শূন্যপদ রয়েছে, বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ণ সনদধারীদের তাতে নিয়োগ দেওয়া হোক।
রাতে শাহবাগে অবস্থান করা আবু সালেহ ও শাকিল আহমেদ নামে নিয়োগবঞ্চিত দুইজন প্রার্থী জানান, তারা টানা অবস্থান কর্মসূচি করছেন। দাবি পূরণ না করা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।
মুন্সিগঞ্জ থেকে আসা শাকিল আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, প্রিলি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা দিয়ে এনটিআরসিএর সনদ অর্জন করেছি। অথচ একটা বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ পাচ্ছি না৷ তাহলে আমার মেধা ও যোগ্যতার মূল্যায়ন কী?
তিনি বলেন, বাসায় বলে এসেছি, নিয়োগের সুপারিশ না পাওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরবো না। দাবি আদায় করেই বাসায় ফিরবো। সোমবার সকাল থেকে আবার কর্মসূচি আছে। নাস্তা সেরেই কর্মসূচিতে যোগ দেবো।
এর আগে রোববার (১২ অক্টোবর) দিনভর শাহবাগে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ, সমাবেশ করেন তারা। এতে এক হাজারেরও বেশি নিয়োগবঞ্চিত প্রার্থী অংশ নেন। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা ঘরে ফিরবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
কর্মসূচিতে আসা নাজমুন নাহার নামে একজন সুপারিশবঞ্চিত প্রার্থী জাগো নিউজকে বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষক পদ শূন্য। অথচ আমরা শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ণরা সুপারিশবঞ্চিত হয়েছি। অবিলম্বে শূন্যপদে নিয়োগের জন্য বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএর সনদধারীদের নিয়োগের ব্যবস্থা করা হোক। আমাদের এ দাবি না মানলে আমরা রাজপথ ছাড়বো না।
আন্দোলনকারীদের দুই দফা দাবি-
১. ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত শূন্যপদ যুক্ত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সুপারিশবঞ্চিত ১৬ হাজার ২১৩ জনকে নিয়োগ দিতে হবে।
২. নীতিমালা পরিবর্তনের পূর্বে সুপারিশবঞ্চিত প্রার্থীদের নিয়োগের লক্ষ্যে বিষয়ভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষণ করে এবং প্রাতিষ্ঠানিক বাধা তুলে দিয়ে প্রয়োজন অনুযায়ী শূন্য পদ যুক্ত করে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সবাইকে নিয়োগ দিতে হবে।
এএএইচ/কেএইচকে