মজারু অ্যাবাকাস গ্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন হলো ফাউজিয়া ও আবরার
সাত শতাধিক শিশু-কিশোরের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলো অনলাইন শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম মজারু আয়োজিত জনপ্রিয় প্রতিযোগিতা ‘অ্যাবাকাস স্পিডমাস্টার সিজন-৩’।
প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সময়ের জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী তাসনিয়া ফারিণ।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ঢাকার আশুলিয়ায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসে আয়োজিত হয় এ অনুষ্ঠান।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা তাদের অসাধারণ মানসিক গাণিতিক দক্ষতা প্রদর্শন করে। কত দ্রুত ও নিখুঁতভাবে তারা কল্পনায় হিসাব করতে পারে- সেটিই ছিল প্রধান চ্যালেঞ্জ।

সব প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে গ্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন হয়- ফাউজিয়া রাউনাফ অনন্যা ভূইয়া ও আবরার ফাইয়াজ সাদ। তাদের প্রত্যেকের হাতে এক লাখ টাকার শিক্ষাবৃত্তির চেক ও অন্যান্য পুরস্কার তুলে দেয় আয়োজকরা।
এছাড়াও আরও ৩৩ জন বিজয়ী পেয়েছে শিক্ষাবৃত্তি, ক্রেস্ট, মেডেল ও সনদপত্র।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন, ড্যাফোডিল ফ্যামিলির চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান, মানবাধিকারকর্মী ফাতিহা আয়াত, মজারু এডুকেশন টেকনোলজিস লিমিটেডের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলাউদ্দিন ফারুকী প্রিন্স ও চিফ মার্কেটিং অফিসার আসাদ জোবায়ের।
মজারু একটি অনলাইন এডুকেশন প্লাটফর্ম। যেখানে শিশুদের মেধা বিকাশে বিভিন্ন ধরনের কোর্স পরিচালনা করা হয়। এরমধ্যে অন্যতম একটি কোর্স অ্যাবাকাস মাইন্ড ম্যাথ। এই কোর্সের প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থী এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। দুইটি ধাপে বাছাইয়ের পর ৭০০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয় গ্র্যান্ড ফিনালেতে।

অনুষ্ঠানে তাসনিয়া ফারিণ বলেন, মজারু শিশুদের নিয়ে কাজ করছে, এটা দেখে আমি অভিভুত, বিস্মিত। মজারুর শিশুরাই আগামী দিনে গণিত, বিজ্ঞানসহ সব ক্ষেত্রে বিশ্বজয় করবে বলে আশা করি।
ড. সবুর খান বলেন, বিশ্বের প্রায় ৫৫টি দেশে বাংলাদেশের একটি প্লাটফর্ম মজারু কাজ করছে, এটা জানতে পেরে আমি গর্বিত। আগামী দিনের দক্ষ মানুষ তৈরিতে মজারুর অবদান অস্বীকার করতে পারি না।
মজারুর চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বলেন, সারাবিশ্বের শিশুদের আনন্দময় শিক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করছে মজারু।
সিফাত আল ফাহিম/এমএমএআর/এমএস