কিডনি অকেজো
সংকটাপন্ন শিক্ষক ওবায়েদ, চিকিৎসায় প্রয়োজন ৩৫ লাখ টাকা

মানুষ গড়ার কারিগর ওবায়েদ হোসেন (৪৪)। প্রতিদিন শিক্ষার আলো ছড়ানোই ছিল তার কাজ। অথচ সেই মানুষটির দিন কাটছে এখন হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে। বেঁচে আছেন অক্সিজেন সাপোর্টে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওবায়েদের দুটি কিডনি অকেজো হয়ে গেছে। ফলে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন তিনি।
এদিকে, একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি অসুস্থ হওয়ায় ওবায়েদের পুরো পরিবার অসহায় হয়ে পড়েছে। একদিকে স্বামীর চিকিৎসা খরচ অন্যদিকে সন্তান ও পরিবার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তার স্ত্রী ফাতেমা জান্নাত।
ওবায়েদ হোসেন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ২নং খিদিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। স্ত্রী ও ছয় বছরের মেয়েকে নিয়ে সুখেই দিন কাটছিল তার। হঠাৎ জানতে পারেন নিজের দুটি কিডনি অকেজো হয়ে গেছে। গত এক বছরে এরইমধ্যে নিজস্ব সম্পদ বিক্রি করে ১৪ লাখ টাকা খরচ করেছেন তিনি। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, তাকে বাঁচাতে হলে বিদেশে নিয়ে কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন ৩৫ লাখ টাকা।
ওবায়েদ হোসেনের স্ত্রী ফাতেমা জান্নাত জানান, তার স্বামীর এমন অবস্থা শনাক্ত হওয়ার পর প্রথমে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে ঢাকার শ্যামলীতে কিডনি হাসপাতাল, বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। বর্তমানে মিরপুরে কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওবায়েদ। নিয়মিত তাকে অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে হচ্ছে।
ফাতেমা বলেন, ‘বর্তমানে কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ডায়ালাইসিস করে চিকিৎসকরা কোনোমতে তাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। এখন তার দুটি কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে। এতে ৩৫ লাখ টাকা লাগবে। আর্থিক সামর্থ্যের মধ্যে স্বামীর চিকিৎসা করিয়েছি। মেয়েকে নিয়ে অনেকটা অসহায় হয়ে পড়েছি এখন। আর কিছু অবশিষ্ট নেই।’ এমন পরিস্থিতিতে স্বামী ওবায়েদ হোসেনকে বাঁচাতে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
শিক্ষক ওবায়েদকে সাহায্য পাঠানো যাবে- ফাতেমা জান্নাত, স্বামী মো. ওবায়েদ হোসেন, হিসাব নম্বর: ২০৫০ ২৩৫০ ২০৪৭ ০৬২১৭, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, রায়পুর শাখা, লক্ষ্মীপুর। এছাড়া কেউ বিকাশে সহায়তা করতে চাইলে ০১৭৮০০৪৫৬৯২ নম্বরে টাকা পাঠানো যাবে।
আরএসএম/এএএইচ/জেআইএম