শেষটা ভালো হলো পাকিস্তানের

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:০৮ পিএম, ০৪ মার্চ ২০১৬

পাকিস্তান-শ্রীলংকার মধ্য দিয়ে এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্ব শেষ হয়ে গেলো। সেখান থেকে সরাসরি ফাইনাল। এশিয়া কাপ এবার প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত হচ্ছে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। সে হিসেবে নতুনরূপে পুরনো টুর্নামেন্টটা কেমন গ্ল্যামারাস হতে পারে, সে দিকেই দৃষ্টি ছিল সবার। গ্রুপ পর্ব শেষে আমি বলবো, অসাধারণ একটি এশিয়া কাপ শেষ হচ্ছে। শুধুমাত্র আমরা জিতছি বলেই নয়, আয়োজন, প্রতিদ্বন্দ্বিতা, দর্শক সমাগম- সব মিলিয়ে দারুণ একটা টুর্নামেন্ট শেষ হতে যাচ্ছে। যে ধরনের লড়াই দেখার ইচ্ছা ছিল দর্শকদের, বলতে গেলে তাদের আশা-স্বপ্ন সবই পূরণ করতে পেরেছে এবারের এশিয়া কাপ।

আর বিশেষ করে যদি বলি, তাহলে অবশ্যই বলতে হয়- আমাদের ক্রিকেট দল নিয়ে নিজেদের মধ্যে একটা আবেগ আছে। এই আবেগ এবং দলের জয়ের কারণে বাংলাদেশি হিসেবে তো অবশ্য দারুণ একটা ভালোলাগা আছেই। বাংলাদেশ যদি গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ে যেতো, তাহলে আকর্ষণটা কমে যেতো আমাদের। কিন্তু এশিয়া কাপের শেষ বলটি পর্যন্ত এখন আমাদের সমস্ত চিন্তা-চেতনা, ধ্যান-ধারনাজুড়ে ঠাঁই গেঁড়ে নিয়েছে ভারতের বিপক্ষে এশিয়া কাপ ফাইনাল। জয়-পরাজয় আসলে পরের কথা। বাংলাদেশ ফাইনাল খেলছে এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় পাওয়া। টি-টোয়েন্টিতে যেখানে আমাদের দাঁড়ানোরই জায়গা ছিল না, সেখানে আমরা ফাইনালে খেলছি। এটা একটা বড় ঘটনা।

তবে এটাও ঠিক, আমরা যদি ফাইনাল নাও খেলতে পারতাম, তাহলেও দলের জন্য এই এশিয়া কাপ ছিল প্রাপ্তির। কারণ, এই এশিয়া কাপের পারফরম্যান্স একটা বার্তা দিয়েছে যে, আমরা টি-টোয়েন্টি পারবো। নিজেদের মধ্যে খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে। তারওপর তো আমরা ফাইনালই খেলছি।

আর আয়োজনের কথা যদি বলি, তাহলে অবশ্যই বলতে হয়- আয়োজক হিসেবে বিসিবি সফল। একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করা চাট্টিখানি কথা নয়। কারণ বিশাল পরিমাণ দর্শকের চাপ আর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে এশিয়া কাপ আয়োজন করে বিসিবি দেখিয়ে দিল, এখানে ক্রিকেট অনেক নিরাপদ। অস্ট্রেলিয়াকেও তারা এ বার্তা পৌঁছে দিতে পেরেছে যে, ‘তোমরা না আসলে কী হবে। বাংলাদেশ যে সুষ্ঠু-সুন্দরভাবে কোন টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পারে সেটা অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দেখিয়েছি। এবার এশিয়া কাপেও দেখালাম- বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য কতটা নিরাপদ।’

ফাইনালেও বাংলাদেশ আশা করি অনেক ভালো করবে। ব্যাটসম্যানা যদি নিজেদের কাজগুলো ঠিক মত করতে পারে তাহলে বোলারদের জন্য কাজটা সহজ হয়ে যাবে। কারণ টুর্নামেন্ট জুড়েই বাংলাদেশের বোলাররা ভালো করছে। তবে ফাইনাল যেহেতু, সে কারণে একটু চাপও থাকবে খেলোয়াড়দের ওপর। প্রত্যাশার চাপ, দর্শকদের চাপ- এই চাপ সামলাতে পারলেই জয়ের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে। তবে সন্দেহ নেই ভারতও আমাদের চেয়ে খুব শক্তিশালি একটি দল। তবে বাংলাদেশের যেহেতু ধারাবাহিকতা রয়েছে, সে কারণে আমি বলবো ফাইনালে দু’দলেরই ফিফটি ফিফটি সুযোগ রয়েছে শিরোপা জেতার।

গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচটি এক কথায় বলতে গেলে দুর্দান্ত হয়েছে। দু’দলই সমান শক্তির দল। দুর্ভাগ্যক্রমে হয়তো বিদায় নিয়েছে। শ্রীলংকা দলটি হয়তো একটু ডাউনে রয়েছে। তাদের কয়েকজন ক্রিকেটার অবসরে চলে গেছে। তবে বিশ্বকাপ শুরু করার আগে পাকিস্তানের জন্য দারুণ একটি জয় এটি। বিশ্বকাপে যা তাদের কাজে লাগবে।

লেখক: বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক ওপেনার

আইএইচএস/জেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।