বইমেলায় আলামিন মোহাম্মদের গল্পগ্রন্থ ‘শখের অসুখ’
অমর একুশে বইমেলায় তরুণ লেখক আলামিন মোহাম্মদের প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘শখের অসুখ’ এসেছে। মোস্তাফিজ কারিগরের প্রচ্ছদে বইটি প্রকাশ করেছে ঘাসফুল প্রকাশন। বইটি পাওয়া যাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ‘ঘাসফুল প্রকাশনী’র ১৩৭ নম্বর স্টলে। এছাড়াও বইটি বাংলা একাডেমির লিটল ম্যাগ চত্বরের ২৩ নম্বর স্টলেও পাওয়া যাবে। বইটির বিনিময় মূল্য রাখা হয়েছে ২০০ টাকা।
লেখকের প্রথম বই হলেও লেখনীতে তিনি কিন্তু তা একেবারেই বুঝতে দেননি। বরং তিনি পাঠকদের ভালোভাবেই বোঝাতে সক্ষম যে তিনি হারিয়ে যেতে আসেননি। রাতের আকাশের তারার মতোই জাজ্বল্যমান হয়ে নিজের জানান দিতে এসেছেন। তার লেখনীতে যত্ন ও কাহিনীর গাঁথুনিবিন্যাস পড়লেই পাঠকরা বুঝতে পারবেন লেখকের মুন্সিয়ানার পরিচয়।
মোট ১১টি গল্প রয়েছে বইটিতে। তার মধ্যে দি তার্কিশ ওয়াইফ, একটি সুইসাইড নোট, বউ উদ্ধার এবং শখের অসুখ গল্পগুলো বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। কিন্তু ১১টি গল্পই ভিন্ন স্বাদের এবং পাঠক বইটি হাতে নিলে যে শেষ না করে উঠতে পারবেন না, তা বেশ জোর দিয়েই বলা যায়।
বই সম্পর্কে অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, ‘মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়’।
কিন্তু কখনো কখনো মানুষ স্বপ্ন দেখতেই ভুলে যায়। সেই মানুষগুলোর চোখে নতুন করে স্বপ্নের আলো জ্বেলে দেন কিছু মানুষ, স্বপ্নহীনদের স্বপ্ন গড়ার সাহস এনে দেন, আর স্বপ্নবাজদের দেখান স্বপ্নকে বাস্তবতার আঙিনায় আনার পথ। আলামিন মোহাম্মদ স্বপ্নচারীদের একজন। সাজানো স্বপ্নগুলোকে একে একে বাস্তবায়ন করে হয়ে উঠছেন স্বপ্নবাজদের সাহস সঞ্চারের উৎসাহ।
বইটি নিয়ে অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে আলামিন মোহাম্মদ বলেন, শৈশব থেকেই আমি প্রচুর বই পড়তে ভালোবাসি। বই পড়ার তীব্র নেশায় আমি প্রায় সময়ই রাতের ঘুমকে হার মানিয়েছি। বিভিন্ন রকমের বই কেনার পাশাপাশি পাড়া-মহল্লার সকল বন্ধু-বান্ধব, ছোট ভাই-বড় ভাই, আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে বই হাওলাত করার মাধ্যমেও বই সংগ্রহের সর্বাত্মক চেষ্টা করে এসেছি আমি। একবার বই পড়া শুরু করলে পড়তে পড়তে আমি নিজেকে আবিষ্কার করতাম অন্য এক জগতে। আমি অনুভব করতে পারতাম কীভাবে একজন লেখক তার মনের মতো করে একটি জগত তৈরি করতে পারে, সাজাতে পারে। কতই না চমৎকার এবং স্বাধীন সে জগৎ। আমারও ইচ্ছে জাগে নিজের মতো করে জগৎ তৈরি করার, নিজের মতো করে সেই জগতটিকে সাজাবার।
আলামিন মোহাম্মদের জন্ম ১৯৮৯ সালের ১০ নভেম্বর টাঙ্গাইল জেলার বানাইল গ্রামে। বাবা আমানত উল্লাহ এবং মা আঞ্জু আরা। এক ভাই এবং দুই বোনের ছোট পরিবার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেসের উপর বিবিএ, এমবিএ করার পর বর্তমানে মেটলাইফে প্রশিক্ষণে অফিসার পদে কাজ করছেন। স্বপ্ন দেখেন মোটিভেশনাল স্পিকার হওয়ার।
এমএইচ/এনএফ/আরআইপি