পুলিশের কাছে সাইফের ওপর হামলা নিয়ে যা বললেন কারিনা

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:৩১ পিএম, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫

সাইফ আলি খানের ওপর হামলার পর ৫০ ঘণ্টা অতিক্রম করেছে। বেশ কয়েকটি সিসিটিভি ফুটেজে আততায়ীর গতিবিধি জানা গেলেও মূল অপরাধীকে ধরা যায়নি।

এদিকে মুম্বাই পুলিশ একাধিক টিম গঠন করে সাইফের বাড়ির সব কর্মীদের জেরা করা শুরু করেছে। তল্লাশি চালানো হচ্ছে তাদের প্রতিবেশীর বাড়িতেও। এর মাঝেই দুই সন্তানকে আগলে রেখেছেন কারিনা কাপুর খান। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়িতেই কারিনা বক্তব্য রেকর্ড করেছে বান্দ্রা পুলিশ। তাদের কাছে সেই রাতের ভয়ানক ঘটনার বিবরণ তুলে ধরেন কারিনা কাপুর।

কারিনা তার বক্তব্যে জানিয়েছেন, ‘হামলাকারী মারাত্মক হিংস্র। নিজে চোখে দেখলাম, সাইফের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এলোপাথাড়িভাবে একের পর সে এক কোপ মারছে। তখন আমাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল সাইফকে যত দ্রুত সম্ভবত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া। জেহ তখন ভয়ে থরথর করে কাঁপছে। সাইফ দুই সন্তান তৈমুর আর জেহকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে গিয়েছিল। ওই আক্রমণকারী যখন জেহ অবধি পৌঁছতে পারেনি, লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার রাগে সাইফের উপর এলোপাথারিভাবে ছুরি চালিয়ে দেয়।’

পুলিশের কাছে কারিনা আরও বলেন, ‘হামলার পরই সেখান থেকে পালিয়ে যায় আক্রমণকারী। তবে সাইফ সজাগ হওয়ায় আমাদের বাড়ি থেকে কোনো মূল্যবান জিনিস নিয়ে যায়নি।’ চোখের সামনে এমন ভয়াবহ ঘটনা দেখে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন কারিনা কাপুর নিজেও। তাই পুলিশের কাছে প্রাথমিক বক্ত রেকর্ডের পর হাসপাতালে সাইফকে দেখে সেখান থেকে সোজা বোন কারিশমা কাপুরের বাড়ি চলে যান।

কারিনা জানিয়েছেন, ‘আমার এই অবস্থা দেখে কারিশমাই আমাকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়।’সাইফের ওপর হামলার পর শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট দেন কারিনা কাপুর। এতে তিনি করে মূলত অনুরাগী এবং ফটো সাংবাদিকদের কাছে ব্যক্তিগত বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার অনুরোধ জানান।

পোস্টে কারিনা লেখেন, ‘আপনাদের বাড়তি উদ্বেগ আমার পরিবারের জন্য ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। দয়া করে আমাদের ব্যক্তিগত জীবনকে সম্মান করুন। আজকের দিনটা আমাদের কাছে প্রচণ্ড চ্যালেঞ্জিং ছিল। এখনো পুরো ঘটনা বোঝার চেষ্টা করছি।’এরপরই বান্দ্রা পুলিশ বাড়িতে গিয়ে কারিনার বক্তব্য রেকর্ড করেন।

এমএমএফ/এএসএম

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।