সভাপতি পদে নির্বাচন করবেন কাজী হায়াৎ

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:০১ পিএম, ৩০ জানুয়ারি ২০২১

ঢাকাই সিনেমার বর্ষিয়ান চলচ্চিত্র পরিচালক কাজী হায়াৎ। ‘দাঙ্গা’, ‘লুটতরাজ’, ‘আম্মাজান’, ‘ইতিহাস’, ‘কাবুলিওয়ালা’সহ বহু সুপারহিট সিনেমা তিনি উপহার দিয়েছেন ঢাকাই সিনেমার দর্শককে।

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ৮বার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। জয় করে নিয়েছেন কোটি দর্শকের হৃদয়। অর্জন করেছেন বহু স্বীকৃতি ও সম্মাননা।

এই সিনিয়র চলচ্চিত্র পরিচালক এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নির্বাচনে অংশ নেয়ার। তিনি সভাপতি পদে প্রার্থী হবেন বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আজ শনিবার (৩০ জানুয়ারি) জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের এখনো অনেক দেরি। চেয়েছিলাম বিষয়টি গোপন থাকুক। তাই গণমাধ্যমে কিছু বলিনি। কিন্তু এখন দেখছি বিষয়টি প্রায় সবাই জেনে গেছে।

হ্যাঁ, এবার নির্বাচন করবো ভাবছি। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির আসন্ন নির্বাচনে সভাপতি হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবো।’

কাজী হায়াৎ আরও নিশ্চিত করলেন তার সঙ্গে মহাসচিব পদে জোট বাঁধবেন ‘হৃদয়ের কথা’খ্যাত নির্মাতা এস এ হক অলিক।

চলচ্চিত্র পরিচালকদের স্বার্থ সংরক্ষণে কাজ করে যাওয়া বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির আসন্ন দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২ এপ্রিল। বিএফডিসির চত্বরেই অনুষ্ঠিত হবে এ নির্বাচন। সেখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনানের দায়িত্ব পালন করবেন বর্ষিয়াণ নির্মাতা ও চিত্রগ্রাহক আব্দুল লতিফ বাচ্চু। তার সঙ্গে আরও দুই কমিশনার হিসেবে থাকছেন আ স ম শফিকুর রহমান ও ডি এইচ নিশান।

প্রসঙ্গত, কৃষক পরিবারের সন্তান চিত্রপরিচালক কাজী হায়াৎ গোপালগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪৭ সালে। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতেন সিনেমার মানুষ হবেন। স্বনামধন্য পরিচালক মমতাজ আলীর সহকারী হিসেবে সিনেমায় কাজ শুরু করেন কাজী হায়াৎ।

ধীরে ধীরে ঢাকাই সিনেমার সেরা পরিচালকদের একজন হয়ে উঠেন তিনি। চলচ্চিত্র পরিচালনার পাশাপাশি প্রযোজক ও অভিনেতা হিসেবেও সমাদৃত তিনি। সম্প্রতি শারীরিকভাবে বেশ অসুস্থ ছিলেন। উন্নত চিকিৎসা শেষে বর্তমানে বেশ সুস্থই রয়েছেন বলে নিশ্চিত করলেন। এফডিসিতি আসা যাওয়া অনিয়মিত। তবে প্রিয় কর্মস্থলের খোঁজ খবরটা নিয়মিতই রাখেন।

গেল ২০১৭ সালে এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মাতা কাজী হায়াৎ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সদস্যপদ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তার একটি সিনেমার নাম নিবন্ধনকে কেন্দ্র করে অভিমান করে সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এই চলচ্চিত্র পরিচালক। তবে তখনকার পরিচালক সমিতির নেতৃবৃন্দ বিষয়টিকে আমলে নিয়ে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে এর সমাধান করেন।

এলএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।