এমপি রিমনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের
ইউপি নির্বাচনে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশক্রমে সোমবার রাতে বরগুনার বেতাগী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
মঙ্গলবার সকালে সাধারণ ডায়েরির তদন্ত কর্মকর্তা ও বেতাগী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আব্দুল কুদ্দুছ সাধারণ ডায়েরিটির তদন্তের আদেশ চেয়ে বেতাগী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করেন। পরে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারক মো. বেল্লাল হোসেন তদন্ত কর্তকর্তার আবেদন গ্রহণ করে সাধারণ ডায়েরিটিকে ননজিআর মামলা হিসেবে তালিকাভূক্ত করে তদন্তের আদেশ দেন।
গত ৫ মার্চ বরগুনার বেতাগীতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর তিনি ৫ মার্চ বেতাগী উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের কিসমত ভোলানাথপুর ও কেওড়াবুনিয়া গ্রামে নতুন বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের উদ্বোধনের সময় এমপি রিমন দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন বলে সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ পায়।
এরপর স্থানীয় নির্বাচন কর্মকর্তা প্রতিবেদন পাঠালে বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) তার বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশনা দেয় নির্বাচন কমিশন।
রোববার (১৩ মার্চ) ইসির উপ-সচিব মো. সামসুল আলম বরগুনার এসপিকে মামলা দায়ের করার জন্য একটি চিঠি পাঠান। চিঠিতে নির্বাচনী আচরণবিধির ৩১ ধারা অনুযায়ী মামলা দায়েরের জন্য বলা হয়।
নির্বাচনী আচরণবিধি ৩১-এ বলা হয়েছে-কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি নির্বাচন পূর্ব সময়ে বিধিমালা লঙ্ঘন করলে ছয় (০৬) মাসের কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। মামলা দায়ের করে তা নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করতে বরগুনার এসপিকে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে ওই চিঠিতে।
এ বিষয়ে বরগুনার পুলিশ সুপার বিজয় বসাক জানান, ১৪ মার্চ রাতে নির্বাচন কমিশনের চিঠি পেয়ে বেতাগী থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়। সে অনুযায়ী ওই রাতেই বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমানের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন (জিডি নং ৪৫২)।
একই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (তদন্ত) সাধারণ ডায়েরির তদন্তভার দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে এ সাধারণ ডায়েরিটি একটি ননজিয়ার মামলায় পরিণত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এমপি রিমন সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছিলেন। ওই সময় তাকে শোকজ করলে কমিশনের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এমপি শওকত হাচানুর রহমান রিমন।
মিরাজ/এমএএস/এমএস