শোকাবহ আগস্ট: বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৪৩ পিএম, ১৫ আগস্ট ২০২৩

মো. আশিকুর রহমান সৈকত

‘একজন মানুষ হিসেবে সমগ্র মানবজাতি নিয়েই আমি ভাবি। একজন বাঙালি হিসেবে যা কিছু বাঙালিদের সাথে সম্পর্কিত তাই আমাকে গভীরভাবে ভাবায়। এই নিরন্তর সম্পৃক্তির উৎস ভালোবাসা, যে ভালোবাসা আমার রাজনীতি এবং অস্তিত্বকে অর্থবহ করে তোলে।’ কথাগুলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। বলেছিলেন তাঁর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থে। বাঙালি জাতির হাজার বছরের এই শ্রেষ্ঠ সন্তান আমাদের বাঙালির নিরন্তর প্রেরণার উৎস।

বিশ্বের দরবারে লাল-সবুজের পতাকা নিয়ে মাথা উঁচু করে বাঙালি জাতি যে আজ স্বমহিমায় দাঁড়িয়ে আছে, তা বঙ্গবন্ধুর সারাজীবনের আত্মত্যাগ আর দূরদর্শী, বিচক্ষণ রাজনৈতিক নেতৃত্বের ফল। বাংলাদেশ যে আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উন্নত শির নিয়ে দাঁড়িয়ে, বিশ্বের উদীয়মান অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দেশ হিসেবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে বাঙালির যে ঐতিহাসিক অগ্রযাত্রা, তার শেকড় প্রোথিত সোনার বাংলা বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুর আমৃত্যু স্বপ্নে। বঙ্গবন্ধুর জীবন-দর্শন, বাংলাদেশ নিয়ে তাঁর স্বপ্ন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মাত্র সাড়ে তিন বছরে বাংলাদেশের উন্নয়নে এবং মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় তাঁর গৃহীত পদক্ষেপ আর পরিকল্পনাকে যথাযথভাবে বিশ্লেষণ করলে আমরা বাংলাদেশের উন্নয়নের সুস্পষ্ট পথনির্দেশনা পাই। যে পথনির্দেশনা বর্তমান বাংলাদেশের উন্নয়নের কৌশলপত্র। এ কথার সত্যাসত্য খুঁজে পাওয়া যায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কণ্ঠেও। তিনি বলেন, ‘আমি যখনই, যেখানে উন্নয়নের জন্য হাত দিই, সেখানেই দেখি আমার বাবা বঙ্গবন্ধুর ছোঁয়া আর দিকনির্দেশনা।’ (গোলাম সাব্বির সাত্তার, ২০১৮, বঙ্গবন্ধু: ত্রিকালদর্শী বাঙালী মহাপুরুষ, চিত্ত রঞ্জন মিশ্র ও অন্যান্য সম্পাদিত বঙ্গবন্ধু জনক জোর্তিময়, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়)

১৯২০ সালের ১৭ মার্চ ভারতীয় উপমহাদেশের বঙ্গ প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার পাটগাতি ইউনিয়নের বাইগার নদী তীরবর্তী ছায়াঢাকা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি টুঙ্গিপাড়া নামক নিভৃত পল্লিতে জন্ম হয় জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের। শেখ হাসিনার ভাষায়, ‘বাইগার নদীর তীর ঘেঁষে ছবির মত সাজানো সুন্দর একটা গ্রাম। সে গ্রামটির নাম টুঙ্গিপাড়া। বাইগার নদী এঁকে বেঁকে গিয়ে মিশেছে মধুমতি নদীতে। এই মধুমতি নদীর অসংখ্য শাখা নদীর একটা হলো বাইগার নদী। নদীর দু’পাশে তাল, তমাল, হিজল গাছের সবুজ সমারোহ।’ (শেখ হাসিনা, ২০১৫, শেখ মুজিব আমার পিতা, আগামী প্রকাশনী, ঢাকা)

একজন সন্তানের জন্মের সাথে তার পিতার সম্পর্ক যেমন থাকে, ঠিক তেমনই বাংলাদেশের সাথে বঙ্গবন্ধুর সম্পর্ক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে বিশ্বব্যাপী নন্দিত এক চরিত্র আমার বঙ্গবন্ধু, আমাদের বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর রয়েছে আরও বেশ কিছু বিশেষণ। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য জাতির পিতা, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের স্থপতি, বিশ্ববন্ধু (ফ্রেন্ড অব দ্য ওয়ার্ল্ড) প্রভৃতি। তাঁর নামের সঙ্গে যে বিশেষণগুলো যুক্ত হয়েছে; সেগুলো বিশ্লেষণ করলেই প্রতীয়মান হয়, তিনি বাংলাদেশের জন্য কী করেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন এক চরিত্র, যাঁকে বাদ দিলে বাংলাদেশ মানচিত্রে কল্পনা করা অসম্ভব। এজন্যই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখক ও দার্শনিক আহমদ ছফা লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং শেখ মুজিবুর রহমান এ দুটো যমজ শব্দ। একটা আরেকটার পরিপূরক এবং দুটো মিলে আমাদের জাতীয় ইতিহাসের উজ্জ্বল-প্রোজ্জ্বল এক অচিন্তিত পূর্ব কালান্তরের সূচনা করেছে।’ (আহমদ ছফা, মার্চ ১৯৮৯, শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যান্য প্রবন্ধ, বুক সোসাইটি, ঢাকা)

আরও পড়ুন: ফজিলাতুন নেছা মুজিব: ইতিহাসের অনন্য নারী

বঙ্গবন্ধু তাঁর সমগ্র জীবনকে উৎসর্গ করেছেন এদেশের মাটি ও মানুষের কল্যাণে। তাঁর সমগ্র জীবনের একমাত্র বাসনা ছিল বাঙালি জাতির মুক্তি। আর তাই নিজের জীবনের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য, স্ত্রী-সন্তান, মা-বাবার প্রতি ভালোবাসাকে বিসর্জন দিয়ে বঙ্গবন্ধু পরম মমতায় বাঙালি জাতিকে আপন করে নিয়েছেন, মুক্তির মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছেন দেশের মানুষকে। অপরিসীম ভালোবাসায় তাই বঙ্গবন্ধুর সরল স্বীকারোক্তি, আমি আমার বাংলার মানুষকে ভালোবাসি। আমি বাংলার আকাশকে ভালোবাসি। আমি বাংলার বাতাসকে ভালোবাসি। আমি বাংলার নদ-নদীকে ভালোবাসি। আমি বাংলার প্রত্যেক মানুষকে মনে করি আমার ভাই, মাকে মনে করি আমার মা, ছেলেকে মনে করি আমার ছেলে।

বাঙালির আত্মার আত্মীয় এই মহাপুরুষ স্বাধীনতার পরপরই এ দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে যে আধুনিক ও কর্মমুখী শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই, সেটা উপলব্ধি করেছিলেন। ১৯৭২ সালের ১৯ আগস্ট সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের জাতীয় সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু ছাত্রলীগের কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, ‘বাবারা একটু লেখাপড়া শিখ। যতই জিন্দাবাদ করো, মুর্দাবাদ করো ঠিকমতো লেখাপড়া না শিখলে কোনো লাভ নাই। আর লেখাপড়া শিখে যে সময়টুকু থাকে বাপ-মাকে সাহায্য করো। প্যান্ট পরা শিখে বাবার সাথে হাল ধরতে লজ্জা করো না, কোদাল মারতে লজ্জা করো না। দুনিয়ার দিকে চেয়ে দেখো। কানাডায় দেখলাম ছাত্ররা ছুটির সময় লিফট চালায়। ছুটির সময় দু’পয়সা উপার্জন করতে চায়। আর আমাদের ছেলেরা বড় আরামে খান আর তাস নিয়ে ফটাফট খেলতে বসেন। গ্রামে গ্রামে বাড়ির পাশে বেগুনগাছ লাগিও, কয়টা মরিচগাছ লাগিও। কয়টা লাউগাছ ও কয়টা নারকেলের চারা লাগিও। বাপ-মাকে একটু সাহায্য করো। কয়টা মুরগি পাল। কয়টা হাঁস পাল। জাতীয় সম্পদ বাড়বে। তোমার খরচ তুমি বহন করতে পারবে। বাবার কাছ থেকে যদি এতটুকু জমি নিয়ে দশটা লাউ গাছ, ৫০টা মরিচগাছ, কয়টা নারিকেল গাছ লাগানো যায়, দেখবে ২-৩শ’ টাকা আয় হয়ে গেছে। তোমরা ঐ টাকা দিয়েই বই কিনতে পারবে। কাজ করো, কঠোর পরিশ্রম করো। নইলে বাঁচতে পারবে না। শুধু বিএ, এমএ পাস করে লাভ নেই। আমি চাই কৃষি কলেজ, কৃষি স্কুল, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও স্কুল। যাতে সত্যিকার মানুষ পয়দা হয়। বুনিয়াদি শিক্ষা নিয়ে কাজ করে খেয়ে বাঁচতে পারবে। কেরানি পয়দা করেই একবার ইংরেজ শেষ করে গেছে দেশটা। তোমাদের মানুষ হতে হবে ভাইয়েরা।’ (এ এইচ খান, ২০১১, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নির্বাচিত ভাষণ, তৃতীয় খণ্ড, বাংলাদেশ কালচারাল ফোরাম, ঢাকা)

বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-দর্শন বাঙালি ও বাংলাদেশকে পথ দেখিয়ে চলেছে অবিরত। শান্তিতে-সংগ্রামে, শোকে-শক্তিতে বঙ্গবন্ধু আলোকবর্তিকা নিয়ে আমাদের পথ দেখান। বাঙালি জাতির প্রতি বঙ্গবন্ধুর এই অপরিসীম ভালোবাসা ও ত্যাগকে অমর্ত্য সেন তুলে ধরেছেন এভাবে, ‘বর্তমান যুগের ইতিহাসে বাংলাদেশের রাজনৈতিক জন্ম একটি বিরাট ঘটনা। সুচিন্তিত গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে জাতীয় অধিকার প্রতিষ্ঠা যে সম্ভব, শেখ মুজিবুর রহমান তার প্রমাণ সমগ্র পৃথিবীর সামনে তুলে ধরেছিলেন। বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালির বন্ধু ও অধিনায়ক ছিলেন না, তিনি ছিলেন মানবজাতির পথপ্রদর্শক ও মহান নেতা। তাছাড়া বঙ্গবন্ধুর উৎসাহ শুধু রাজনৈতিক স্বাধীনতাতেই সীমাবদ্ধ ছিল না। তিনি চেয়েছিলেন বহুদলীয় গণতান্ত্রিক সভ্যতা, সর্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থা, সব মানুষের মানবাধিকারের স্বীকৃতি। তাঁর সাবলীল চিন্তাধারার সঠিক মূল্য শুধু বাংলাদেশ নয়, সমস্ত পৃথিবীও স্বীকার করবে, এ আশা আমাদের আছে এবং থাকবে। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশের মুক্তির আন্দোলনের নেতৃত্বের মধ্যে শেখ মুজিবের বিশাল মহিমার একটি প্রকাশ যেমন আমরা দেখতে পাই, তাঁর মহামানবতার আরেকটা পরিচয় আমরা পাই তাঁর চিন্তাধারার অসাধারণতায়।’ (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মারকগ্রন্থ, ২০০৭, জোৎস্না পাবলিশার্স, ঢাকা)

আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু বাঙালির মানসপটে চির অমলিন

যুদ্ধবিধ্বস্ত ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশটিকে মাত্র সাড়ে তিন বছরে তিনি একটি পরিশীলিত অবস্থানে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছিলেন তাঁর ক্যারিশমেটিক নেতৃত্বের মাধ্যমে। স্বাধীনতার পর বছর দুয়েকের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু হার্ডিঞ্জ ব্রিজ, ভৈরব ব্রিজসহ ৫৬৭টি সেতু নির্মাণ ও মেরামত করেন। স্থল ও রেলপথের পাশাপশি নদীবন্দরগুলোকেও সচল করার উদ্যোগ নেন। অল্প সময়ের মধ্যে ৭টি ফেরি ও ৬০৫টি নৌযান চালু করা হয় যাতায়াত ও পণ্য পরিবহন সহজীকরণের স্বার্থে। শুধু তা-ই নয়, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য নেতৃত্বে ১৮৫১টি রেল ওয়াগন ও যাত্রীবাহী বগি, ৪০৬টি বাস এবং ৩টি পুরোনো বিমানবন্দর চালু হয়। এভাবে সারাদেশে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ নেটওয়ার্ক চালু হয়। পশ্চিম পাকিস্তানিদের পরিত্যক্ত ব্যাংক, বীমা ও ৫৮০টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান জরুরি ভিত্তিতে জাতীয়করণ ও উৎপাদনক্ষম করে লাখো শ্রমিকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেন। ব্যক্তিমালিকানাধীন সব ব্যাংককে জাতীয়করণ করে ৬টি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। ভারত থেকে ফেরা এক কোটিরও বেশি শরণার্থীর পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেন এবং একই সঙ্গে কোটি কোটি ছিন্নমূল মানুষের জন্য খাদ্যের সংস্থান করে মানুষের ক্ষুধার সমস্যা দূর করার জন্য বিভিন্ন রকমের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। স্থানীয় পর্যায়ের মানুষ যেন ন্যায্যমূল্যে পণ্য কিনতে পারে, এজন্য বঙ্গবন্ধু ইউনিয়ন, থানা ও মহাকুমা পর্যায়ে ন্যায্যমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহ করার জন্য কনজিউমার স্টোর চালু করেন।

৪৮ বছর আগের সেই ১৫ আগস্টে ঘাতকচক্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করলেও মৃত্যু ঘটাতে পারেনি তাঁর স্বপ্ন, আদর্শ ও চেতনার। বরং স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠী এবং উন্নয়ন ও গণতন্ত্রবিরোধী চক্রের যে কোনো অপতৎপরতা-ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করার জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকার শক্তিতে উজ্জীবিত হয়েছে বাংলাদেশ। দারিদ্র্যের কঠিন শিলার স্তর পাড়ি দিয়ে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে ধাবমান। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ব্যাপারে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে দেশ আজ বীরদর্পে এগিয়ে চলছে ক্ষুধা, দারিদ্র্যের নিরক্ষরতামুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকে এক বিস্ময়ের নাম। ছোট ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে ১৬ কোটি মানুষের বসবাস সত্ত্বেও বাংলাদেশ এখন খাদ্যে আত্মনির্ভরশীল দেশ। মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়, বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি, দারিদ্র্যসীমা হ্রাসকরণ, জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ বিশ্বে নতুন মর্যাদায় অভিষিক্ত। বঙ্গবন্ধুর প্রদর্শিত পথেই এগিয়ে যাচ্ছেন তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে আজ আমরা স্বপ্ন দেখছি এক স্মার্ট বাংলাদেশের। যে স্মার্ট বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবে, যে বাংলাদেশ হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা। জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু।

লেখক: শিক্ষার্থী, লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, ত্রিশাল, ময়মনসিংহ।

এসইউ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।