১৫ দিন পর স্বল্প পরিসরে খুললো চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতালের বহির্বিভাগ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:১৪ এএম, ১২ জুন ২০২৫
জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন রোগীরা/ছবি জাগো নিউজ

বন্ধের ১৬তম দিনে স্বল্প পরিসরে চালু হয়েছে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ও হাসপাতালের বহির্বিভাগ। পাশপাশি চালু আছে জরুরি বিভাগও। তবে হাসপাতালের ইনডোর কার্যক্রম এখনো বন্ধ।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকালে চিকিৎসক ও স্টাফদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা হাসপাতালে এসেছেন। তাদের কিছু দাবি-দাওয়া আছে। এসব নিশ্চিত করলে তারা নিয়মিতই আসবেন। তবে অধিকাংশ চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফদের নিরাপত্তা শঙ্কা এখনো কাটেনি।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, স্বল্প পরিসরে সেবা চালু হলেও হাসপাতাল ভবনের চতুর্থ তলা এখনো দখলে রেখেছেন জুলাই আহতরা। তাদের কয়েকজন চতুর্থ তলার কলাপসিবল গেটে তালা দিয়ে ভেতরে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। তবে তাদের কারও সঙ্গে কথা বলা যায়নি।  

বন্ধের ১৬তম দিনে স্বল্প পরিসরে বহির্বিভাগ চালু চক্ষু হাসপাতালের

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

কর্মস্থলে নিরাপত্তার দাবিতে গত ২৮ মে কর্মবিরতি পালন করেন চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। জরুরি বিভাগ ছাড়া নিয়মিত অস্ত্রোপচার থেকে শুরু করে সব চিকিৎসাসেবা বন্ধ ছিল। যে কারণে সকাল থেকেই হাসপাতালে আসা সাধারণ রোগী ও সেবাপ্রার্থীদের সঙ্গে কর্মীদের কথা কাটাকাটি হয়। বেলা সাড়ে ১১টার পর চিকিৎসক ও রেজিস্ট্রার মাহফুজ আলম বিষয়টি ব্যাখ্যা করে সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।

আরও পড়ুন

যাদের পূর্বনির্ধারিত অস্ত্রোপচারের তারিখ ছিল, তাদের পরে ফোনে ডেকে এনে অস্ত্রোপচার করে দেবেন বলে জানান। এতেও সেবাপ্রার্থীরা নিবৃত হননি। তারা হইহুল্লোড় ও হট্টগোল করতে থাকেন। চিকিৎসক ও নার্সদের দিকে তেড়ে যান। এসময় আনসার সদস্যরা নিবৃত করতে গেলে হাতাহাতি হয়। হাসপাতালের কর্মী ও সেবাপ্রার্থীদের মধ্যে মারামারিও হয়।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

এরপর পুরো হাসপাতালে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে ভেতরের সব ওয়ার্ডের কলাপসিবল গেট আটকে তালা দিয়ে দেন নিরাপত্তারক্ষীরা। বিষয়টি নিজেদের জন্য আতঙ্কের বা আক্রমণাত্মক হতে পারে—এমন আশঙ্কায় উল্টো তালা ভেঙে জুলাই আহতরা লাঠিসোঁটা ও রড হাতে চিকিৎসক, কর্মী ও সেবাপ্রার্থীদের এলোপাতাড়ি পেটানো শুরু করেন। তাদের সঙ্গে এসে সেই হামলায় যোগ দেন পঙ্গু হাসপাতালে থাকা জুলাই আহতরাও।

বন্ধের ১৬তম দিনে স্বল্প পরিসরে বহির্বিভাগ চালু চক্ষু হাসপাতালের

এ ঘটনায় চিকিৎসকসহ ১৫ জন আহত হন। এরপর আতঙ্কে চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীদের বেশিরভাগ দ্রুত হাসপাতাল ছেড়ে যান। তাদের কেউ কেউ ভেতরে আটকা পড়লে সেনাসদস্যরা গিয়ে উদ্ধার করেন।

বিজ্ঞাপন

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন

এরপরই পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় হাসপাতালটির সেবা কার্যক্রম। কার্যত ওইদিন থেকে পুরো হাসপাতাল জুলাই আহতদের দখলে চলে যায়। এরপর থেকে হাসপাতালে যাচ্ছেন না চিকিৎসক-নার্সসহ অন্য কর্মীরা। সেখানে এখন শুধু জুলাই আহতরা অবস্থান করছেন। অন্তর্বর্তী সরকার রুটিনমাফিক তাদের জন্য খাবার সরবরাহ করছে।

এসইউজে/এমকেআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।