বিশ্বে ১৫০ দেশে জলাতঙ্ক, আর্থিক ক্ষতি ৮.৬ বিলিয়ন ডলার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:২৭ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে অতিথিরা/ছবি: সংগৃহীত

সারা বিশ্বের ১৫০টি দেশে জলাতঙ্ক রোগ বিস্তৃত রয়েছে। এ রোগে বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ৫৯ হাজার মানুষ মারা যায়। এ রোগে বিশ্ব আর্থিকভাবে ৮ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হয়।

শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব তথ্য জানানো হয়। রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের সেমিনার রুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, জলাতঙ্ক রোগে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, বরং সুষ্ঠু ব্যবস্থা গ্রহণ করলে রোগটি নির্মূল হবে। এ রোগটি সম্পর্কে আতঙ্ক সৃষ্টি না করে যেসব মাধ্যমে রোগটি ছড়ায় তা যথাযথভাবে প্রতিরোধ করতে হবে।

উপদেষ্টা আরও বলেন, এ দেশের ম্যাস ডগ ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রাম, শেল্টার রেসকিউ সেন্টার, অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাক্ট ২০১৯ এবং মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির কার্যক্রম আরও বাড়াতে হবে। সঙ্গে কুকুরের প্রতি আমাদের আচরণ বদলাতে হবে; এদের প্রতি আমাদের মানবিক হতে হবে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. বয়জার রহমান। অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রাণিসম্পদ ঔষধাগারের পরিচালক ডা. মো. শাহিনুর আলম।

আবু সুফিয়ান বলেন, এই রোগটি যদি কুকুরের মধ্যে সম্পূর্ণ প্রিভেনশন করা যায়, তাহলে মানুষের মধ্যে শতভাগ নির্মূল করা সম্ভব হবে। আর মানবস্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে অবশ্যই কুকুরের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক বলেন, জলাতঙ্ক রোগটি গবেষক ও সব কমিউনিটির সম্মিলিত অংশগ্রহণের মাধ্যমে নির্মূল করা সম্ভব। তাই রোগটি নির্মূলে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

এদিকে বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস উপলক্ষে ‘জলাতঙ্ক নির্মূলে কাজ করি সবাই মিলে’ স্লোগানকে সামনে রেখে সকালে বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের করা হয়।

এনএইচ/এমএমকে/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।