এক সপ্তাহে করোনা রোগী বেড়েছে ২৩২ শতাংশ
গত এক সপ্তাহে করোনাভাইরাসের সব সূচক (নমুনা পরীক্ষা, শনাক্ত, মৃত্যু এবং সুস্থতা) ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে।
চলতি বছরের ইপিডেমিওলজিক্যাল প্রথম সপ্তাহের (৩-৯ জানুয়ারি পর্যন্ত) তুলনায় দ্বিতীয় সপ্তাহে (১০-১৬ জানুয়ারি) নমুনা পরীক্ষা ২৯ দশমিক ৯ শতাংশ, করোনা শনাক্ত ২৩১ দশমিক ৯ শতাংশ, মৃত্যু ৬৮ শতাংশ এবং সুস্থ রোগী ৪৭ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ইপিডেমিওলজিক্যাল প্রথম সপ্তাহে এক লাখ ৪৫ হাজার ৯৬৩টি নমুনা পরীক্ষা হয়। পরীক্ষায় শনাক্ত হয় ৭ হাজার ২৩৪ জন নতুন করোনা রোগী। আর ২৫ জনের মৃত্যু হয়। একই সময়ে সুস্থ হন এক হাজার ৩২৩ জন। পরবর্তী সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বেড়ে এক লাখ ৮৯ হাজার ৬৩০ জন হয়। একই সময়ে ৪২ জনের মৃত্যু এবং এক হাজার ৯৮৮ জন সুস্থ হয়ে ওঠেন।
সবশেষ গত এক সপ্তাহে করোনায় মোট ৪২ জন রোগী মারা যান। তাদের মধ্যে পুরুষ ২৪ জন ও নারী ১৮ জন। মৃতদের মধ্যে ৩১ জনই অর্থাৎ ৭৩ দশমিক ৮ শতাংশই টিকা নেননি। মাত্র ১৩ জন (২৬ দশমিক ২ শতাংশ) টিকা নিলেও তাদের মধ্যে দুইজন প্রথম ডোজ ও নয়জন দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেন।
এদিকে দেশে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনসহ ভাইরাস সংক্রমণের অব্যাহত ঊর্ধ্বমুখী ধারাকে ‘অশুভ ইঙ্গিত’ বলে উল্লেখ করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
তিনি বলেন, দেশে ওমিক্রন সংক্রমণ আগের তুলনায় বাড়লেও এখনো ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই বেশি। আইইডিসিআর (সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান) এবং বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে করোনা আক্রান্ত রোগীদের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং পরীক্ষায় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত রোগীই ৮০ শতাংশ।
স্বাস্থ্যের ডিজি বলেন, রাজধানী ঢাকায় ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি। সে তুলনায় অন্যান্য বিভাগে কম। ফলে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ সরকারি ১১ দফা নির্দেশনা মেনে না চললে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
এখন যারা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের অধিকাংশই টিকা নেননি বলে জানান স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক।
এমইউ/জেডএইচ/এমএস