প্রতি ৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় একজন করোনা পজিটিভ

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৫৯ পিএম, ২৫ জানুয়ারি ২০২২
দেশে করোনায় শনাক্ত বাড়ছেই। ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রভাবে দেশে সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে প্রতি তিনজনের নমুনা পরীক্ষায় একজন করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের সরকারি-বেসরকারি ৮৫৭টি ল্যাবরেটরিতে ৪৯ হাজার ৪৯২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ১৬ হাজার ৩৩ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। এসময়ে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ৪০ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি ৩ দশমিক শূন্য ৮টি (৩.০৮৬) নমুনা পরীক্ষায় একজন ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগী বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ১৫ হাজার ৯৯৭ জনে।

এর আগে সোমবার (২৪ জানুয়ারি) ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ৮২৮ জন রোগী শনাক্ত এবং নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল ৩২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। একই সময়ে ১৫ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

corona-3.jpg

ওমিক্রনের প্রভাবে বাড়ছে শনাক্তের হার। ফাইল ছবি

এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক সংক্রমণেও রেকর্ড হয়েছে। একদিনে শনাক্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৩৩ জন, যা এখন পর্যন্ত দৈনিক সংক্রমণের হিসাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের ২৮ জুলাই দেশে একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জন রোগী শনাক্ত হয়। এরপর মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শনাক্তের তথ্য জানালো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১৮ জনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে পুরুষ ১২ জন ও নারী ছয়জন। মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে আটজন, চট্টগ্রামে ছয়জন এবং রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে একজন করে মারা গেছেন। এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ২৫৬ জনে।

corona-3.jpg

সারাদেশে ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ৪৯ হাজার নমুনা পরীক্ষা। ছবি: সংগৃহীত

এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন এক হাজার ৯৫ জন। এ নিয়ে সুস্থ রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১৫ লাখ ৫৮ হাজার ৯৫৪ জনে দাঁড়িয়েছে।

দেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ওই বছরের শেষ দিকে সংক্রমণ কিছুটা কমলেও গত বছরের এপ্রিল থেকে জুন-জুলাই পর্যন্ত করোনার ডেল্টা ধরন ব্যাপক আকার ধারণ করে।

বছরের শেষ কয়েক মাস পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল থাকলেও এ বছরের শুরু থেকে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টসহ করোনার বিস্তার আবারও বাড়তে শুরু করে।

এএএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।