প্রয়োজনের মাত্র ৮ শতাংশ মেডিকেল ডিভাইস উৎপাদন হয় দেশে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৩৮ পিএম, ২৭ মার্চ ২০২৩

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ বলেছেন, বাংলাদেশে মেডিকেল সরঞ্জামের ৪ হাজার কোটি টাকার মার্কেট। এই মার্কেটের মাত্র ৬ থেকে ৮ শতাংশ দেশে উৎপাদন হয়। বাকি সম্পূর্ণটাই আমদানি নির্ভর।

সোমবার (২৭ মার্চ) রাজধানীর মহাখালী ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে মেডিকেল সরঞ্জাম উৎপাদক ও আমদানিকারকদের সঙ্গে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।

মেজর জেনারেল মো. ইউসুফ বলেন, ডিভাইস আমদানি নির্ভর হওয়ার ফলে আমাদের অনেক বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হয়। আবার প্রয়োজনের সময় পাই না। আমরা যাতে দেশে সক্ষমতা বাড়াতে পারি সেজন্য উদ্যোক্তা, আমদানিকারক ও সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানিয়েছি। এরসঙ্গে বিশেষজ্ঞদেরও ডাকিয়েছি। যারা এসব সামগ্রী ব্যবহার করে তাদের চাহিদা জানার জন্য। কীভাবে ডিভাইসগুলোর উৎপাদন বাড়াতে পারি, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের দেশে সব কিছু উৎপাদন সম্ভব। আমরা টেকনিক্যালি অনেক অগ্রসর।

আরও পড়ুন: ভারতে ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠাতে চায় বাংলাদেশ

দেশে মেডিকেল ডিভাইসের সংকট আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেশে এই মুহূর্তে ডিভাইসের সংকট নেই। ডলারের দাম বেশি হলেও আমদানিকারকরা ডিভাইস নিয়ে আসছেন।

নতুন কী সিদ্ধান্ত হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের তিনটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। সরকার যাতে কম মূল্যে উৎপাদকদের ভূমি দেয়, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সরকারের কাছে আমরা আবেদন জানাবো যাতে বেজা, বেপজা এসব এলাকায় স্বল্পমূল্যে তাদের ভূমির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।

‘ঋণের সুদের হারের বিষয়ে এসএমই ও সরকারের যেসব খাত আছে সেখানে নির্দিষ্ট হারের চেয়ে কমিয়ে তাদের ঋণ দেওয়া যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’

মেজর জেনারেল মো. ইউসুফ বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, ডিভাইসের উৎপাদনে কাঁচামাল আমদানিতে ট্যাক্স যাতে কমিয়ে দেওয়া হয়, সে ব্যবস্থা নেওয়া। সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নে প্রশাসন, এনবিআর, অর্থ মন্ত্রণালয়, বানিজ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা আজকেই চিঠি লিখছি। যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেগুলো মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাবো।

এএএম/এমএইচআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।