‘রক্তদাতারা মানুষের মাঝে প্রাণ সঞ্চার করছেন’
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেছেন, “রক্তদাতাদের সঙ্গে আমাদের একটা সুসম্পর্ক রয়েছে। রাজস্ব যেমন দেশের অর্থনীতির প্রাণ সঞ্চার করছে, রক্তদাতারা তেমনি রক্তদানের মাধ্যমে মানুষের মাঝে প্রাণ সঞ্চার করছেন।”
শুক্রবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আয়োজিত স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রাজস্ব বিভাগের কার্যক্রম এবং কোয়ান্টামের রক্তদান কার্যক্রমের সামঞ্জস্যতা উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি বলেন, বেঁচে থাকার জন্যে রক্তের প্রয়োজন। উন্নয়নের জন্যেও তেমনি রক্তের প্রয়োজন। দেশের উন্নয়নে সেই রক্ত হলো রাজস্ব।
রক্তদানের সঙ্গে এক সময় নিজেও সম্পৃক্ত ছিলেন উল্লেখ করে দেশের রক্তের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ ও যোগান দেয়ার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর আশাবাদ ব্যক্ত করেন মো. নজিবুর রহমান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম ও কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের প্রধান সমন্বয়ক মাদাম নাহার আল বোখারী। তিনি বলেন, আইন করে কখনো রক্তদান করানো যায় না। এ জন্য প্রয়োজন মানবিকতা, মানুষের জন্য ভালবাসা। আর মানুষের পক্ষে রক্তদাতাদের প্রতিদান দেয়াও সম্ভব নয়।
রক্তদানের মতো এমন মহান কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত নিয়মিত রক্তদাতাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
কমপক্ষে ১০ বার রক্তদান করে সিলভার ক্লাব এবং ২৫ বার রক্তদান করে গোল্ডেন ক্লাবের সদস্যপদ লাভ করেছেন -এমন ২৫৪ জন রক্তদাতাকে সম্মাননা দেয় কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের সনদপত্র, বিশেষ আইডি কার্ড এবং সম্মাননা ক্রেস্ট ও মেডেল প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর প্যালিয়েটিভ কেয়ারের প্রধান প্রফেসর ডা. নিজামউদ্দিন আহমদ। স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের পক্ষে অনুভূতি বর্ণনা করেন আফরিন মাসকুরা এবং নিয়মিত রক্তগ্রহীতাদের মধ্য থেকে নিজের জীবনের অনুভূতির কথা জানান থ্যালাসেমিয়া রোগী প্রাচী।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ছয় লক্ষ ব্যাগ নিরাপদ ও সুস্থ রক্তের চাহিদা রয়েছে। রক্ত ঘাটতির বিপুল এ চাহিদা পূরণের লক্ষ্যেই ১৯৯৬ সাল থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। গত এক যুগের প্রচেষ্টায় প্রায় সাড়ে সাত লক্ষাধিক মানুষের জীবন রক্ষায় ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে এ ফাউন্ডেশনটি।
এমইউ/আরএস/এমএস