বিএসএমএমইউয়ের ইপনায় ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ উদ্বোধন

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরো ডিজ-অর্ডার অ্যান্ড অটিজমে (ইপনা) বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে আগত শিশুরোগী ও তাদের অভিভাবকরা যাতে অপেক্ষাকালীন বই পড়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারেন, সেজন্য এ কর্নার স্থাপন করা হয়।
বুধবার (২৯ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, কোষাধ্যাক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান এবং ইপনার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও শিশু অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ডা. শাহীন আখতার।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইপনার ট্রেনিং কো-অর্ডিনেটর ডা. মাজহারুল মান্নান। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, ইপনাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ইতিহাস বিকৃতি ও বিস্মৃতি ঠেকানোর জন্যই বেশি করে বই পড়তে হবে। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে, বুঝতে এবং নতুন প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, সংগ্রামকে ছড়িয়ে দিতে এই মুজিব কর্নার স্থাপনের উদ্যোগ।
উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ তার বক্তব্যে মুজিব কর্নার স্থাপনের জন্য অধ্যাপক ডা. শাহীন আখতারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি মুজিব কর্নারের লাইব্রেরিতে আরও বই প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহ্বান জানান। এক্ষেত্রে তার প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতারও আশ্বাস দেন।
শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর কারণেই আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছি। বঙ্গবন্ধু শিশুদের অত্যন্ত ভালোবাসতেন। বঙ্গবন্ধুর সম্পর্কে শিশুদের জানানো আমাদের পবিত্র দায়িত্ব। তিনি তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
স্বাগত বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. শাহীন আখতার শিশুদের বঙ্গবন্ধু ও ইতিহাসে তার অধিষ্ঠিত স্থান সম্পর্কে বিবরণ দিয়ে আলোকিত করার কথা জোর দিয়ে উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর নীতি ও তার সংগ্রাম, অধ্যবসায় ও আত্মত্যাগ আমাদের যেমন অনুপ্রাণিত করেছিল তেমনি আজকের শিশু আগামীর ভবিষ্যৎ তার শান্তি ও সম্প্রীতির পথ অনুসরণ করতে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত হবে।
এএএম/বিএ/এএসএম