প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকদের পারিতোষিক ভাতা পেতে আবেদনের আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:০৮ এএম, ২৫ মে ২০২৪

বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জন্সের (বিসিপিএস) ফেলোশিপ প্রোগ্রামের আওতায় দ্বিতীয় পর্বে অধ্যয়নরত এফসিপিএস অবৈতনিক প্রশিক্ষণার্থীদের পারিতোষিক ভাতার জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে। যেসব প্রশিক্ষণার্থী জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত অবৈতনিক প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে এফসিপিএস ২য় পর্বের প্রশিক্ষণে আছেন, তাদের ওয়েবসাইট থেকে পারিতোষিক বিলের ফরম ডাউনলোড করে যথাযথভাবে পূরণ করে জমা দিতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিসিপিএস সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মো. জামাল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বিসিপিএসের ফেলোশিপ প্রোগ্রামের আওতায় যেসব প্রশিক্ষণার্থী জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত অবৈতনিক প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে এফসিপিএস ২য় পর্বের প্রশিক্ষণে আছেন, তাদের বিসিপিএসের ওয়েবসাইট থেকে পারিতোষিক প্রদানের বিল ফরম ডাউনলোড করে যথাযথভাবে পূরণ করে কলেজের আরটিএম বিভাগে আগামী ৫ জুনের মধ্যে জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, যেসব প্রশিক্ষণার্থী প্রশিক্ষণ স্থলের বাইরে অন্য কোথাও কোনো প্রকার চাকরি, ডিউটি বা প্র্যাকটিস করেন অথবা অন্য কোনো উৎস হতে বেতন-ভাতা গ্রহণ করেন তাদের বেলায় পারিতোষিকের জন্য আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে প্রশিক্ষণার্থীদের ১০ দফা নির্দেশনাও দিয়েছে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জন্স। এফসিপিএস ১ম পর্ব পাস করা বেসরকারি/অবৈতনিক প্রশিক্ষণার্থীদের পারিতোষিক প্রদান সংক্রান্ত নির্দেশনায় রয়েছে:

১. বিসিপিএস কর্তৃক স্বীকৃত সরকারি, সংবিধিবদ্ধ, ট্রাস্টি বোর্ড দ্বারা পরিচালিত অলাভজনক এবং বিশেষায়িত হাসপাতাল মেডিকেল প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন বিভাগে প্রশিক্ষণরত এফসিপিএস ১ম পর্ব পাস করা বেসরকারি/অবৈতনিক প্রশিক্ষণার্থীদের পারিতোষিক ভাতা প্রদান করা হবে। উল্লেখ্য, বিসিপিএস কর্তৃক স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভাগগুলোতে সর্বোচ্চ প্রশিক্ষণকাল অনুযায়ী ভাতা প্রদান করা হবে। প্রশিক্ষণার্থীরা উক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে কোনো প্রকার বেতন/ভাতাদি গ্রহণ করতে পারবেন না।

২. ১ এপ্রিল থেকে মাসিক ২০,০০০ টাকার পরিবর্তে ২৫,০০০ টাকা হারে প্রশিক্ষণার্থীদের পারিতোষিক প্রদান করা হবে। তবে সময়ে সময়ে সরকার কর্তৃক জারি করা প্রজ্ঞাপন মোতাবেক এ ভাতার হার পুনঃনির্ধারণ করা হবে।

৩. এ প্রশিক্ষণ চলাকালীন পারিতোষিক গ্রহণকারীরা অন্য কোথাও কোনো প্রকার চাকরি/ডিউটি/প্র্যাকটিস করতে পারবেন না অথবা অন্য কোনো উৎস হতে বেতন/ভাতা উত্তোলন করতে পারবেন না। যদি কখনো তা প্রমাণ হয়, তাহলে সমুদয় টাকা ফেরতসহ বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

৪. সরকার থেকে অর্থ প্রাপ্তি সাপেক্ষে ফেলোশিপ প্রোগ্রামের আওতায় প্রশিক্ষণার্থীদের ৩-৫ বছর/পুরো প্রশিক্ষণকাল এ পারিতোষিক প্রদান করা হবে। প্রশিক্ষণের কোনো মেয়াদ ৬ মাসের কম হবে না।

৫. প্রতি ৬ মাসের প্রশিক্ষণ মেয়াদ যথাযথভাবে গ্রহণ করার নিশ্চয়তা ও প্রমাণপত্র স্থানীয় মনিটরিং কমিটি/প্রশিক্ষক/হাসপাতাল পরিচালক/সুপারিন্টেনডেন্ট/সিভিল সার্জনের কাছ থেকে গ্রহণ করতে হবে। সন্তোষজনকভাবে প্রশিক্ষণ সমাপ্তি সনদ ও প্রত্যয়নপত্র জমাদান সাপেক্ষে এ পারিতোষিক প্রদান করা হবে। উল্লেখ্য, ভাতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়াগত প্রয়োজনীয় সময় বিবেচনা করতে হবে।

৬. বিসিপিএস কর্তৃক স্বীকৃত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে Road map অনুযায়ী বেসরকারি প্রশিক্ষণার্থীদের পদায়ন করা হবে। Road mapটি নিম্নরূপ: District Hospital > Tertiary Care Hospital/Institute এবং vice versa.

৭. প্রতিজন প্রশিক্ষকের অধীনে নির্ধারিত সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রশিক্ষণার্থীর অতিরিক্ত কাউকে ভাতা প্রদান করা হবে না।

৮. কলেজ আইনের ধারা ১৪ এর ৬ মোতাবেক বিসিপিএসের আর্থিক নীতিমালা অনুযায়ী প্রতি ছয় মাস অন্তর অন্তর প্রশিক্ষণার্থীর ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে পারিতোষিক প্রদান করা হবে।

৯. জানুয়ারি ২০২০ সেশন এবং তৎপরবর্তী এফসিপিএস ১ম পর্ব পাস করা প্রশিক্ষণরত বেসরকারি/অবৈতনিক প্রশিক্ষণার্থীদের পারিতোষিকের জন্য গণ্য করা হবে।

১০. যেসব প্রশিক্ষণার্থী বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিসিপিএসকে কেন্দ্র করে বিভ্রান্তিমূলক মন্তব্য, পোস্ট অথবা কমেন্ট প্রদান করবেন, তাদের বিরুদ্ধে কলেজের প্রচলিত বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সংক্রান্ত অন্যান্য নিয়মাবলি অপরিবর্তিত থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

এএএম/এসএনআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।