গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে হোয়াইট হাউজের সামনে বিক্ষোভ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৫৫ পিএম, ০৬ এপ্রিল ২০২৫

গাজায় চলমান ইসরায়েলি গণহত্যা ও ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে বাকস্বাধীনতার ওপর দমনপীড়নের প্রতিবাদে হোয়াইট হাউজের সামনের রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেছেন।

২০২৩ সালের অক্টোবরের পর সবচেয়ে বড় এই বিক্ষোভের লক্ষ্য ছিল মার্কিন অর্থায়নে রক্তপাতের নিন্দা করা।

বিক্ষোভকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিলিস্তিনিদের অধিকারে সমর্থনকারী শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার ও হয়রানির প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাছাড়া ইসরায়েলকে মার্কিন সামরিক ও আর্থিক সহায়তা বন্ধ করারও আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিক্ষোভকারীরা হোয়াইট হাউজের সামনের রাস্তায় শিশুদের জুতা রাখেন, যা চলমান আগ্রাসনের সময় নিহত হাজার হাজার ফিলিস্তিনি শিশুর প্রতীক। তাছাড়া নিহত ফিলিস্তিনিদের নামের তালিকাযুক্ত একটি বিশাল ব্যানারও প্রদর্শন করা হয়েছে।

গাজায় গণহত্যা অবিলম্বে বন্ধ করার দাবিতে গ্লোবাল ডে অব অ্যাকশনের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে গণহত্যা বিরোধী বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এদিকে গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনে আরও ৬০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনী অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে হামলা চালিয়ে তাদের হত্যা করেছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৬২ জন।

এর মধ্যে রোববার ভোর থেকে চালানো হামলাতেই প্রাণ হারিয়েছেন ৩০ ফিলিস্তিনি। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে মিডল ইস্ট আই।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস নেতৃত্বাধীন যোদ্ধারা ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি নিহত হন। এসময় ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা। এরপর যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাধ্যমে বেশিরভাগ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় ৫০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। মন্ত্রণালয়টির দেওয়া হিসাবে বেসামরিক নাগরিক ও যোদ্ধার আলাদা হিসাব দেওয়া হয়নি। তথ্যমতে, নিহতদের অর্ধেকেরও বেশি নারী ও শিশু। ইসরায়েল প্রায় ২০ হাজার হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করার দাবি করলেও এর সমর্থনে কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি।

সূত্র: ওয়াফা নিউজ

এমএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।