কাশ্মীর হামলা

ঐতিহাসিক সিমলা চুক্তি বাতিল করলো পাকিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৩০ পিএম, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকের পর ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলন করেন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা/ ছবি: ডন

কাশ্মীরে ‘সন্ত্রাসী হামলার’ ঘটনায় ভারতের নেওয়া পদক্ষেপের পাল্টা জবাব হিসেবে ‘ঐতিহাসিক সিমলা চুক্তি’ বাতিল করেছে পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান ১৯৭২ সালের ঐতিহাসিক সিমলা চুক্তি সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে। এছাড়া ভারতের সঙ্গে ওয়াগাহ সীমান্ত অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

পিএমওর বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ভারত যদি পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসবাদ উসকে দেওয়া, সীমান্ত পেরিয়ে হত্যাকাণ্ড চালানো এবং কাশ্মীর নিয়ে আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের প্রস্তাবনা লঙ্ঘনের আচরণ থেকে বিরত না হয়, তাহলে পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে সব দ্বিপাক্ষিক চুক্তি (সিমলা চুক্তিসহ) স্থগিত রাখবে।

১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে দুই দেশের মধ্যে সিমলা চুক্তি হয়। ১৯৭২ সালের ২ জুলাই ভারতের হিমাচল প্রদেশের সিমলায় ভারতের পক্ষে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও পাকিস্তানের পক্ষে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জুলফিকার আলি ভুট্টো এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তিতে সব দ্বিপাক্ষিক বিরোধ শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।

এতে বলা হয়, ভারত ও পাকিস্তান একমত হয় যে তারা সব ধরনের বিরোধ শান্তিপূর্ণভাবে ও দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করবে। কোনো আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতার প্রতি নির্ভর না করে, দুই দেশ নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেই সমস্যা মেটাবে।

চুক্তির মাধ্যমে কাশ্মীর অঞ্চলে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নতুনভাবে একটি ‘লাইন অফ কন্ট্রোল’ নির্ধারণ করা হয়। এটি যুদ্ধ শেষে অস্ত্রবিরতির রেখা হিসেবে পরিচিত। এছাড়া এ চুক্তির মাধ্যমে ভারত ১৯৭১ সালের যুদ্ধে বন্দি হওয়া প্রায় ৯০ হাজার পাকিস্তানি সৈন্যকে মুক্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেয়।

সূত্র: ডন

এসএএইচ

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।