আত্রাই নদীর বাঁধ ভাঙায় তদন্তের নির্দেশ মমতা ব্যানার্জীর

পানির তোড়ে ভেঙে গেছে আত্রাই নদীর বাঁধের একাংশ। পানির তোর এতটাই বেশি ছিল যে স্লুইস গেটও ভেঙে যায়।
ফলে বাংলাদেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গে আত্রাই নদীর আশপাশের গ্ৰামেও প্রভাব পরতে পারে। ফলে বন্যার আশঙ্কায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে আত্রাই নদীর পাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে। যদিও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বালির বস্তা এবং কংক্রিটের বোল্ডার ফেলে কাজ শুরু করা হয়েছে।
এই ঘটনার পরেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী উস্মা প্রকাশ করেন। বাঁধ নির্মাণ কাজে নিয়োজিত এজেন্সির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের নির্দেশ দেন। এছাড়াও তদন্ত করে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেন জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা-র কাছে।
সেচ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর এই নির্দেশের পরেই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য সেচ দপ্তর। এরই মধ্যে সেচ দপ্তরের ছয় ইঞ্জিনিয়ারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা জানিয়েছেন, বাঁধের মূল অংশের কিছু হয়নি। বাঁধের ধারে সিঁড়ির মাটি ধসে গেছে। বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু হয়ে গেছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে বাঁধ মেরামতির কাজ সম্পন্ন হবে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ও বালুরঘাট ব্লকের মানুষের পানির সমস্যা মেটাতে প্রায় ৩২ কোটি রুপি খরচ করে আত্রাই নদীর ওপরে স্বল্প উচ্চতার বাঁধ দেয় রাজ্য সেচদপ্তর। ২০২৩ সালে বাঁধের কাজ শেষ হয়। ২০২৪ সালে ৩০ জানুয়ারি বালুরঘাটে এসে বাঁধের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। চলতি বছরেই এই বাঁধের একাংশ ভেঙে গিয়ে বিপত্তি সৃষ্টি হয়।
ডিডি/এমএসএম