জাপানি নারীর বাড়ি থেকে প্রায় ১০০ মৃত বিড়াল উদ্ধার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:১৪ পিএম, ০৪ জুন ২০২৫

জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে এক নারীর বাড়ি থেকে প্রায় ১০০টি মৃত বিড়াল উদ্ধার করা হয়েছে। ওই নারী অ্যানিমেল অ্যাসিস্ট সেঞ্জু নামের স্থানীয় একটি পশু কল্যাণ সংস্থার সদস্য। স্থানীয় এক কর্মকর্তা বুধবার (৪ জুন) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর এএফপির।

অ্যানিমেল অ্যাসিস্ট সেঞ্জু নামের ওই পশু কল্যাণ সংস্থাটি সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে ওই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছে। ওই পোস্টে বলা হয়েছে, বাড়িটি বিড়ালের মল এবং প্রস্রাব দিয়ে পরিপূর্ণ ছিল। সেখানে ভয়াবহ নোংরা পরিবেশ বিরাজ করছিল।

সংস্থাটি জানিয়েছে, ওই বাড়িতে তাদের একজন কর্মী বসবাস করতেন। তিনি কোনো অনুমতি বা আলোচনা ছাড়াই নিজ উদ্যোগে অনেক বিড়াল আশ্রয় দিয়েছিলেন, যা সংস্থাটির নিয়ম বহির্ভূত ছিল। একটি বিড়াল এতটাই ক্ষতবিক্ষত ছিল যে তা শনাক্ত করাও কঠিন হয়ে পড়ে। এর চামড়ার কিছু অংশ উঠে গিয়েছিল এবং পায়ের নখে মল-মূত্র লেগে ছিল।

কুমামোতো শহরে অবস্থিত ওই প্রাণি সুরক্ষা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এএফপিকে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে মৃত বিড়ালের সংখ্যা প্রায় ১০০ বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে বলা হচ্ছে, প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়েও বেশি হতে পারে।

অ্যানিমাল অ্যাসিস্ট সেনজু নামের সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা সাধারণত পশু আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বিড়াল ও কুকুর উদ্ধার করে নতুন আশ্রয়দাতার কাছে হস্তান্তর করে থাকে। একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে সংস্থাটি লিখেছে, আমাদের দল এই ঘটনার গুরুত্ব গভীরভাবে উপলব্ধি করছে। আমরা কল্পনাও করতে পারি না, এই বিড়ালগুলো মৃত্যুর আগে কতটা যন্ত্রণায় ভুগেছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, ওই নারীকে আর কোনো বিড়াল রাখার অনুমতি দেওয়া হবে না। স্থানীয় কর্মকর্তা এবং ওই সংস্থার স্বেচ্ছাসেবীরা জানিয়েছেন, একটি বিড়ালের মৃত্যুর খবর পেয়ে শহরের কর্মকর্তারা গত সপ্তাহে ওই বাড়িতে দুবার পরিদর্শন করেন এবং এরপরেই পুরোপুরি তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান চালানো হয়।

তবে অভিযুক্ত নারীর বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কি না তা এখনো স্পষ্ট নয়। এখন পর্যন্ত ওই বাড়ি থেকে ১২টি জীবিত বিড়াল উদ্ধার করা হয়েছে।

টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।