রাশিয়ার তেল-গ্যাসের ওপর শুল্ক আরোপ করবে ইউরোপীয় কমিশন
রাশিয়া থেকে আমদানি করা তেল ও গ্যাসের ওপর শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন। মূলত ট্রাম্পের নির্দেশনায় ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়াতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়ার মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) প্রবেশ করা রাশিয়ার তেল ও গ্যাসের ওপর শুল্ক আরোপের উদ্যোগ নিচ্ছে ইউরোপীয় কমিশন। গত সপ্তাহে জাতিসংঘে দেওয়া এক ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ন্যাটো সদস্যদের রাশিয়ার জ্বালানি কেনা বন্ধ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, তারা নিজেরাই নিজেদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অর্থ জোগাচ্ছে। জ্বালানি কেনার জন্য প্রতি মাসে ইউরোপীয় দেশগুলো রাশিয়াকে এক বিলিয়ন ইউরোরও বেশি অর্থ প্রদান করছে ।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি এন্ড ক্লিন এয়ার (সিআরইএ) জানিয়েছে, শুধু আগস্ট মাসেই ইইউ দেশগুলো রাশিয়ার জীবাশ্ম জ্বালানির জন্য ১০০ কোটি ১৫ লাখ ইউরো ব্যয় করেছে। এর মধ্যে শীর্ষ পাঁচ আমদানিকারক দেশ মিলে ৮৫ শতাংশ জ্বালানি ক্রয় করেছে। শীর্ষে থাকা দেশগুলো হচ্ছে হাঙ্গেরি ,স্লোভাকিয়া,ফ্রান্স,নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম।
হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়া রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল ও পাইপলাইন গ্যাস আমদানি করেছে, অন্যদিকে ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস ও বেলজিয়াম প্রধানত তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কিনেছে। ইউরোপের মোট জ্বালানি সরবরাহের ৩৩ শতাংশ আসে তেল থেকে এবং ২৪ শতাংশ আসে প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে।
এই বিপুল জ্বালানি পরিবহনের জন্য ইউরোপে সক্রিয় রয়েছে প্রায় ২ লাখ ২ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইন নেটওয়ার্ক। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ৪ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ ড্রুজবা পাইপলাইন, যা রাশিয়ার পূর্বাঞ্চল থেকে বেলারুশ ও ইউক্রেন হয়ে হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়ায় তেল সরবরাহ করে।
কেএম