যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ রক্ষায় ছাগল!


প্রকাশিত: ১১:৪৩ এএম, ১৪ জানুয়ারি ২০১৫

বিশ্বের প্রতিটি দেশে উদ্ভিদের কিছু জাত থাকে, যারা অপ্রয়োজনীয় এবং হু হু করে ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। উন্নত দেশে এগুলো শক্তিশালী রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে অথবা বড় মেশিন দিয়ে সাফ করে ফেলা হয়। কিন্তু এসব উদ্ভিদের বিস্তার দমনে এবার নতুন অস্ত্র প্রয়োগ করলো যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের শহরতলীসহ বিভিন্ন এলাকায় এসব উদ্ভিদের বিস্তার রোধে নেওয়া হয়েছে একদল ছাগল।

মূলত এই ছাগলগুলোকে আনা হয়েছে কসাইখানার জন্যে। আমেরিকায় ছাগলের মাংস ব্যাপক জনপ্রিয়। তবে সেখানে যাওয়ার আগে এ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে ছাগলগুলোকে।

জানা গেছে, নক্স এবং তার ব্যবসার অংশীদার এনেছিলেন ছাগলগুলোকে। হঠাৎ করেই তাদরে মাথায় এই বুদ্ধি খেলে যায়। সরাসরি কসাইখানায় না পাঠিয়ে আরো বেশ কিছু কাজে লাগানো যায় এদের। তা ছাড়া বংশ বিস্তার করিয়ে নিতে পারলেও মন্দ কি।

বেশ কিছুদিন ধরেই এসব কাজ করছে ছাগলগুলো। পরিবেশ সাফাইয়ের কাজে দক্ষ হয়ে উঠেছে। এদের নাম হয়ে গেছে ‘ইকো গোট’। বন-জঙ্গলে থাবা পয়জন আইভি বা মাল্টিফ্লোরা রোজ এবং বিটারসুইট এর মতো অখাদ্য উদ্ভিদও তারা ব্যাপক তৃপ্তি নিয়ে খাচ্ছে। বিগত সাত বছর ধরে তারা আমেরিকার পরিবেশের অপ্রয়োজনীয় অংশ সাফ করে চলেছে। মে মাস থেকে নভেম্বরের মধ্যে এক সপ্তাহের প্যাকেজ গ্রহণ করা হয়। সাধারণ রাসায়নিক পদার্থ বা মেশিন ব্যবহার পরিবেশের জন্যে হুমকি হয়ে ওঠে। কিন্তু একমাত্র এই পদ্ধতিতে সাফাই প্রক্রিয়াটা পুরোপুরি প্রাকৃতিক হয়ে উঠেছে। এই ছাগলগুলো গত সাত বছরে টন টান ঝোপঝাড় সাফ করেছে। এই প্রক্রিয়াটি পরিবেশ রক্ষার একটা বায়োলজিক্যাল সমাধান।

নক্স বলেন, আমার বলতে ভালো লাগবে যে, দারুণ একটি পদ্ধতি আমি আবিষ্কার করেছি। কিন্তু আদিমকাল থেকে এটাই প্রাকৃতিক পদ্ধতি ছিলো। আমি শুধু পদ্ধতিটি ফিরিয়ে এনেছি।

আমেরিকার দক্ষিণ-পূবের্র অংশে মিসিসিপি, আলাবাম এবং জর্জিয়ার মানুষরা এই পদ্ধতি প্রয়োগ করে দারুণ উপকার পেয়েছেন। তারা এই পদ্ধতির আরো বিস্তৃতি চান। আর যারা করছেন এ কাজটি, তারাও ছাগলগুলোকে দারুণ ভালোবাসেন।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।