মেক্সিকোয় ৪৩ শিক্ষার্থী নিখোঁজ : পুলিশ কমান্ডার গ্রেফতার


প্রকাশিত: ০৯:৫৯ এএম, ০৮ মে ২০১৫

গত বছর ৪৩ শিক্ষার্থী নিখোঁজের ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বৃহস্পতিবার এক পলাতক সাবেক ডেপুটি পুলিশ প্রধানকে গ্রেফতার করেছে মেক্সিকো কর্তৃপক্ষ। তার বাহিনীর সদস্যরা ওই শিক্ষার্থীদের অপহরণ করে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ইগুয়ালাস মিউনিসিপাল ফোর্সের দক্ষিণাঞ্চলীয় নগরীর সাবেক উপ-পরিচালক ফ্রান্সিসকো সালগাদো ভাল্লাদারেস একটি সভায় যোগ দিতে মেক্সিকো সিটি থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার (৫৫মাইল) দক্ষিণে অবস্থিত কার্নাভাকায় পৌঁছলে ফেডারেল পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

প্রসিকিউটররা জানান, ইগুয়ালার বাহিনী পুলিশকে ২৬ সেপ্টেম্বর ওই ছাত্রদের বাধা দেয়ার নির্দেশ দেয়। এই ঘটনার সঙ্গে মেয়র জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষক হতে ইচ্ছুক এই ছাত্ররা মেয়রের স্ত্রীর ভাষণকে বাধা দিতে শহরে ছিল। শিক্ষার্থীদের নিখোঁজের ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন মেয়র। দাবি করা হয়, ওই মেয়রই পুলিশকে শিক্ষার্থীদের বাধা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

ওই ঘটনায় আটক তিন অভিযুক্ত জানিয়েছিলেন, ইগুয়ালার পুলিশই মাদক ব্যবসায় জড়িতদের দলের হাতে ৪৩ জন শিক্ষার্থীকে তুলে দিয়েছে। তাদেরকে জবাই করার পর মরদেহ ভস্মীভূত করা হয়। এরা ছিল গুয়েরোরো প্রদেশের একটি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের শিক্ষার্থী। নিখোঁজ হওয়ার দিন পাশ্ববর্তী ইগুয়ালা প্রদেশে একটি বিক্ষোভে যোগ দিতে যাচ্ছিল তারা। শিক্ষার্থী নিখোঁজের ঘটনাকে পুরো মেক্সিকোকে স্তম্ভিত করে। আলোড়িত হয় সারা বিশ্বও। এ ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন দেশটির প্রেসিডেন্ট এনরিক পেনা নিয়েটো। তবে জড়িত প্রত্যেককে বিচারের সম্মুখীন করার অঙ্গীকার করেন তিনি।

মন্ত্রণালয় জানায়, ওই ঘটনার পর থেকে ফ্রান্সিসকো গুয়েরেরো রাজ্যে আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে লুকিয়ে ছিলেন। গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে একে-৪৭ এর গুলি পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পৌর কর্মকর্তা ও অপরাধী চক্রের সদস্যসহ প্রায় ১ শ লোককে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে ইগুয়ালার মেয়র হোসে লুইস আবার্কাও রয়েছেন। শিক্ষার্থীদের নিখোঁজের ঘটনার পর থেকে তিনিও পলাতক ছিলেন। দাবি করা হয়, ওই মেয়রই পুলিশকে শিক্ষার্থীদের বাধা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

একে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।