পাকিস্তান কালো তালিকাভুক্ত হলো আন্তর্জাতিক সংস্থায়
![পাকিস্তান কালো তালিকাভুক্ত হলো আন্তর্জাতিক সংস্থায়](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2019April/fatf-20190823200150.jpg)
বিশ্বব্যাপী আর্থিক নজরদারি প্রতিষ্ঠান ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্কফোর্স (এফএটিএফ) এর এশিয়া প্যাসিফিক বিভাগ পাকিস্তানকে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করেছে। আগামী অক্টোবরের মধ্যে কালো তালিকাভুক্তি এড়াতে হবে ইসলামাবাদকে। কেননা ২৭ দফা কর্ম পরিকল্পনার বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটি দেয়া ১৫ মাসের সময়সীমা অক্টোবরে শেষ হবে।
ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের এশিয়া প্যাসিফিক বিভাগ অর্থ-তছরুপ ও সন্ত্রাসবাদে মদদ দিতে তহবিল গঠনের বিষয়ের ৪০টি আভিযোগের মাপকাঠির (কমপ্লায়েন্স প্যারামিটার) ৩২টিতে পাকিস্তানকে অনুপযুক্ত বলে মনে করেছে।
চলতি বছরের জুনে ওয়াচডগ পাকিস্তানকে অক্টোবরের মধ্যে সন্ত্রাসবাদ তহবিল সংগ্রহ বন্ধের ব্যাপারে নির্দেশ দিয়ে কড়া সতর্কতা জারি করেছিল। অন্যথায় সরকারকে কঠোর পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে বলেও ইমরান খানের সরকারকে হুঁশিয়ার করেছিল তারা।
সংস্থাটি জানিয়েছিল, আগামী অক্টোবরের মধ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানে অভিযান চালানো না হলে তারা ওই দেশটিকে কালো তালিকাভুক্ত করার কথা ভাববে। ইসলামাবাদের অভিযোগ, পাকিস্তানকে কালো তালিকাভুক্ত করতে তদবির করছে নয়াদিল্লি।
পাকিস্তান-ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারকে জাতিসংঘ কর্তৃক বিশ্ব সন্ত্রাসবাদী হিসাবে কালো তালিকাভুক্ত করার ব্যাপারে এর আগেও ভারত এফএটিএফকে পাকিস্তানকে কালো তালিকায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে।
ভারতের তরফ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, ক্রমাগত সন্ত্রাসবাদে মদদ দিতে সন্ত্রাসী তহবিল গঠনে সাহায্য করছে পাকিস্তান। পাকিস্তান অবশ্য বরাবরের মতো নয়াদিল্লির তোলা এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
ভারত ও এফএটিএফ এর অন্যান্য সদস্য দেশগুলো পাকিস্তানকে হাফিজ সঈদ, মাসুদ আজহার এবং জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষিত অন্যান্য সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ তুলেছিল। পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী আইন এখনও আন্তর্জাতিক মানের নয় বলে অভিযোগ তাদের।
তবে পাকিস্তান যদি ‘ধূসর তালিকায়’ থেকে যায়, তবে মুডি, স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুয়ারস এবং ফিচের মতো ক্রেডিট রেটিং এজেন্সিগুলোর নেতিবাচক মূল্যায়নের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, বিশ্বব্যাংক এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের কাছেও দেশটির অবস্থান নিম্নমুখী হবে।
পাকিস্তানের মুদ্রাস্ফীতি গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ—প্রায় ১০ শতাংশ ছুঁই ছুঁই করছে এখন। পাকিস্তানের অর্থনীতি এখন সংকটের দোরগোড়ায় চলে গেছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ।
এসএ/পিআর