বিশ্বে ২০ কোটি নারী খৎনার শিকার : জাতিসংঘ মহাসচিব
নারী খৎনাকে ‘জঘন্য ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন’ আখ্যায়িত করে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, বর্তমান বিশ্বে ২০ কোটিরও বেশি নারী ও মেয়ে শিশু খৎনার শিকার হয়েছেন। এছাড়া প্রতিবছর প্রায় ৪০ লাখ মেয়ে খৎনার ঝুঁকিতে থাকেন।
নারী খৎনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক শূন্য সহিষ্ণুতা দিবস উপলক্ষে বুধবার দেয়া এক বাণীতে জাতিসংঘ মহাসচিব এ পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন। তিনি আশঙ্কা করেছেন, ভয়াবহ এ চর্চা ক্ষতিগ্রস্তদের শারীরিক, মানসিক ও যৌন স্বাস্থ্যগত জটিলতার দিকে ঠেলে দিতে পারে।
ফিমেল জেনিটাল মিউটিলেশন (এফজিএম) বা খৎনা নারীদের ওপর পরিচালিত এক নিষ্ঠুর প্রথা। এই প্রক্রিয়ায় কোনো মেডিকেল কারণ ছাড়াই নারীদেহের জননাঙ্গের বাইরের অংশ সম্পূর্ণ বা আংশিক কেটে ফেলা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি করা হয় কোনো অবশ ছাড়াই।
যন্ত্রণাদায়ক এই প্রথা আফ্রিকার দেশগুলোতে বেশি চর্চিত। তবে এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের কিছু কিছু দেশে এর চর্চা রয়েছে।
চলতি বছরে আরও ৪০ লাখের মতো মেয়ে এ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে জানিয়ে গুতেরেস বলেছেন, জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার দশকের মধ্যে রয়েছে। আসুন, এ দশককে আমরা মেয়েদের খৎনাকে শূন্যে নামিয়ে আনি।
মেয়েদের খৎনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জিরো টলারেন্স দিবস উপলক্ষে দেয়া বাণীতে জাতিসংঘ মহাচিব আরও বলেন, মেয়েদের খতনার বিষয়টি সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক কাঠামোয় গভীরভাবে আবদ্ধ। এটি মানবাধিকারের লঙ্ঘন এবং মেয়েদের বিরুদ্ধে চরম আকারের সহিংসতা। তবে ভাগ্যক্রমে ২০০০ থেকে ২০১৮ সালে এটি ২৫ শতাংশ কমেছে বলে জানান আন্তোনিও গুতেরেস।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেছেন, আমাদের অবশ্যই এসব পরিবর্তনের (মেয়েদের খৎনা) বিরুদ্ধে কণ্ঠ সোচ্চার করতে হবে এবং তাদের অধিকারের পক্ষে দাঁড়াতে হবে। এজন্য সবাইকে এগিয়ে আসার জন্য তিনি আহ্বান জানিয়েছেন।
সূত্র : ইউএন নিউজ
এসআর/এমকেএইচ