করোনার উত্তাপের মধ্যেই সীমান্তে দুই কোরিয়ার গোলাগুলি

কোরীয় সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। উত্তর কোরিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। দক্ষিণের একটি গার্ড পোস্টে স্থানীয় সময় রোববার সকালে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। খবর রয়টার্সের।
প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকা উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের জনসম্মুখে আসার একদিন পরেই এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটল।
গত ১১ এপ্রিলের পর থেকে কিমকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। এমনকি উত্তর কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং দেশটির প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল-সাংয়ের জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানেও লাপাত্তা ছিলেন কিম। এরপরেই বিশ্বের নজরে আসে বিষয়টি।
করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে বিভিন্ন মহলে নানা ধরনের গুঞ্জন এবং গুজব ছড়াতে থাকে। এর মধ্যেই তার মৃত্যুর খবর নিয়েও গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়তে থাকে। অবশেষে সব জল্পনা সরিয়ে একটি সার কারখানার উদ্বোধন করতে দেখা গেছে এই শীর্ষ নেতাকে। সে সময় তার সঙ্গে রাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বোন কিম ইয়ো-জংও ছিলেন।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চীফ অব স্টাফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তের একটি গার্ড পোস্টে স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৪১ মিনিটে উত্তর কোরিয়া থেকে কয়েক দফা গুলি চালানো হয়।
উত্তর কোরিয়ার হামলার জবাবে দক্ষিণ কোরিয়াও গুলি চালিয়েছে। তবে এই গোলাগুলির ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। এদিকে, এশিয়ান ইন্সটিটিউট ফর পলিসি স্টাডিসের ভাইস প্রেসিডেন্ট চই ক্যাং বলছেন, গ্রে এরিয়া হিসেবে পরিচিত সীমান্তের ওই অঞ্চলে গোলাগুলির ঘটনা এটা প্রমাণ করে যে, কিম জং উন এখনও উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর প্রধান হিসেবে আছেন।
তিনি বলেন, গতকাল কিম দেখাতে চেয়েছেন যে, তিনি পুরোপুরি সুস্থ আছেন। আর আজ তিনি এটা দেখাতে চাচ্ছেন যে সামরিক বাহিনীর ওপর তার পুরো নিয়ন্ত্রণ আছে। তিনি আরও বলেন, এর মাধ্যমে কিম আমাদের এটা মনে করিয়ে দিচ্ছেন যে, 'হ্যাঁ আমি (কিম) সুস্থ আছি এবং এখনও ক্ষমতায় আছি।'
টিটিএন/পিআর