আর লকডাউনে যাবে না যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:১৭ এএম, ১৮ জুন ২০২০

অডিও শুনুন

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ২৬ হাজারের বেশি। মারা গেছে ৮০৯ জন। ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ফ্লোরিডাসহ বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে সংক্রমণ বাড়ছে। তবে তাতে পরোয়া নেই ট্রাম্প প্রশাসনের। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়লেও আর লকডাউনে যাবে না তার দেশ।

বুধবার ফক্স নিউজ চ্যানেলকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা আর দেশ বন্ধ ঘোষণা করব না (লকডাউন)। আমাদের এটা করার দরকারও হবে না।

সম্প্রতি হোয়াইট হাউসের অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ল্যারি কুদলো ও কোষাগার সচিব স্টিভেন এমনুচিন বলেছেন, হয়তো আর অর্থনীতি শাটডাউন করবে না যুক্তরাষ্ট্র। তাদের এ মন্তব্যের পর এবার লকডাউনে ‘না’ করে দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে গত মার্চে লকডাউন ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। এতে বন্ধ হয়ে যায় অসংখ্য প্রতিষ্ঠান। বেকার হয়ে যান কয়েক কোটি মানুষ। এতে বেকায়দায় পড়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা, অর্থনৈতিক সংকট, সবশেষ জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের জেরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জনপ্রিয়তায় রীতিমতো ধস নেমেছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইপসস পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে, মার্কিনিদের কাছে গ্রহণযোগ্যতার মাপকাঠিতে ট্রাম্পের চেয়ে ১৩ পয়েন্টে এগিয়ে গেছেন বাইডেন, যা চলতি বছরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। ফলে লকডাউনের ঝুঁকি আর নিতে চান না প্রেসিডেন্ট।

সম্প্রতি ট্রাম্প বলেছেন, তার দেশে বেশি বেশি করোনা টেস্ট করা হচ্ছে বলে বেশি সংক্রমণ ধরা পড়ছে। করোনা টেস্ট করা বাদ দিয়ে দিলেই দেখা যাবে যুক্তরাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণ নেই।

এ পর্যন্ত ২২ লাখেরও বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। মারা গেছে এক লাখ ১৯ হাজার ৯৪১ জন। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে নিউইয়র্কে-চার লাখ ৬ হাজার। তবে সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস ও ফ্লোরিডাসহ কিছু অঙ্গরাজ্যে সংক্রমণ ব্যাপকহারে বাড়ছে।

সূত্র : আল-জাজিরা, দ্য স্টার

এসআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।