সংক্রমণে ঊর্ধ্বগতি, ফের লকডাউন হতে পারে ব্রিটেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:০৩ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

হাসপাতালে মহামারি কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতি আটদিনে দ্বিগুণ হচ্ছে জানিয়ে ইংল্যান্ডজুড়ে ফের লকডাউন সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা জারির ব্যাপারে সতর্ক করেছে ব্রিটিশ সরকার। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা দেশজুড়ে ফের লকডাউনের বিপক্ষে, কিন্তু প্রয়োজন হলেই তা করতে প্রস্তুত আমরা।’

ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক শুক্রবার বিবিসিকে আরও বলেন, ‘জীবন ও জীবিকা বাঁচানোর জন্য যা করা প্রয়োজন তা করার জন্য প্রস্তুত আছি।’ করোনার সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে শুরু করার পর ইংল্যান্ডের বিশ লাখ মানুষের জন্য ফের বিধিনিষেধ জারির পর তিনি এসব কথা বলেন।

হ্যানকক আরও বলেন, ‘খুব দুঃখের সঙ্গে আমরা লক্ষ্য করছি যে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা প্রতি আটদিনে দ্বিগুণ হচ্ছে। তাই আমাদের ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।’

উদ্বেগজন সংক্রমণ পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই বিধিনিষেধ সাময়িক। তা জারি থাকবে কিনা এটা নির্ভর করছে পরিস্থিতির ওপর। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে এসব বিধিনিষেধ কার্যকর হবে। নতুন করে বিধিনিষেধের আওতাভূক্ত এলাকাগুলো হলে নিউক্যাসেল, সান্দারল্যান্ড, সাউথ টিনেসাইড এবং গেটশেড।

ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার দেশটির পার্লামেন্টে বলেন, আমাদের হাতে এসব তথ্য আসার পর দ্রুত পদক্ষেপ নেয়াটা জরুরি হয়ে পড়েছে। সান্দারল্যান্ডে এখন লাখপ্রতি সংক্রমণের হার ১০৩ জন। এ ছাড়া নিউক্যাসেল, সাউথ টিনেসাইড এবং গেটশেড এলাকার সবগুলোতেই সংক্রমণের এই হার ৭০ এর বেশি।

ইউরোপে মহামারি করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হলো যুক্তরাজ্য। সরকারি হিসাব অনুযায়ী দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনায় প্রায় ৪২ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। এপ্রিলের পর সংক্রমণ কিছুটা কমলেও জুলাইয়ের পর থেকে দেশটিতে সংক্রমণ আবার বাড়তে শুরু করেছে। বর্তমান পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক।

ইংল্যান্ডে নতুন করে কোভিড-১৯ পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত মানুষের সংখ্যা ১৬৭ শতাংশ বেড়েছে। ফলে বিশ লাখ মানুষের জন্য বৃহস্পতিবার থেকে নতুন করে আরোপ হয়েছে বিধিনিষেধ। ওইদিন দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের (এনএইচএস) টেস্ট অ্যান্ড ট্রেস স্কিমের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

এ ছাড়া করোনার নমুনা পরীক্ষা নিয়ে জটিলতা এবং ফল পেতে বিলম্ব হওয়া নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে দেশটির সরকার। এনএইচএস-এর টেস্ট অ্যান্ড ট্রেস স্কিম জানাচ্ছে, বিগত সপ্তাহের চেয়ে এই সপ্তাহে ব্যক্তি হিসেবে দৈনিক করোনার নমুনা পরীক্ষার সময়সীমা আরও বাড়ানো হয়েছে।

এসএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।