মালয়েশিয়ায় দ্বিতীয় দফায় লকডাউন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৫৮ এএম, ১৩ অক্টোবর ২০২০

দুই সপ্তাহের জন্য মালয়েশিয়ার এক তৃতীয়াংশের বেশি মানুষের চলাচলে নতুন করে কড়াকড়ি আরোপের ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সাম্প্রতিক সময়ে একটি রাজ্যের নির্বাচন থেকে নতুন করে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আগামী ১৪ অক্টোবর থেকে এই বিধি-নিষেধ কার্যকর হবে এবং পরবর্তী ১৪ দিন পর্যন্ত তা জারি থাকবে বলে জানানো হয়েছে। দেশটির সাবাহ, পোর্ট ক্লাং ও কেদাহ রাজ্য মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডারের (এমসিও) মধ্যে থাকলেও নতুন করে এই বিধি-নিষেধের আওতাভুক্ত হচ্ছে রাজধানী কুয়ালামাপুর, পুত্রাজায়া, সেলাংগর রাজ্য।

সোমবার দেশটির নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সেলাংগরসহ আশেপাশের অঞ্চলে সম্প্রতি আশঙ্কাজনকহারে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের একটি সুপারিশ জমা হওয়ার পর এই লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

লকডাউন এর কারণে মালয়েশিয়ায় সব ধরনের ধর্মীয়, ক্রীড়া, শিক্ষা এবং সামাজিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।কলকারখানা স্বাভাবিক ভাবে চলবে। কিন্তু এক জেলা থেকে অন্য জেলা বা প্রদেশে যাওয়া যাবে না।

তবে সাধারণ শ্রমিকরা তাদের মালিকের কাছ থেকে অনুমতি পত্র নিয়ে যে কোন জেলায় যেতে পারবেন। প্রতিটি পরিবার থেকে ২ জন বাইরে গিয়ে মুদি দোকান থেকে জিনিসপত্র কিনতে পারবেন।

এক্ষেত্রে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে রেস্টুরেন্ট এবং অন্যান্য ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে কি না সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।

বুধবার সকাল থেকে এই নতুন বিধি-নিষেধ চালু হবে এবং তা ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। সাম্প্রতিক সময়ে সংক্রমন ছড়িয়ে পড়ার জন্য সাবাহ রাজ্যকে দায়ী করা হচ্ছে।

ওই রাজ্যের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকেই পুরো সাবাহ জুড়ে কড়াকড়ি কার্যকর হবে।

নতুন কড়াকড়ির কারণে কুয়ালালামপুর, পুত্রাজায়া এবং সেলাংগরের প্রায় ৭৬ লাখ মানুষের জীবনে প্রভাব পড়বে। যা, মালয়েশিয়ার মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৩ ভাগ।

টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।