যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মৃত্যু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকেও ছাড়িয়ে গেল
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যত মার্কিনি নিহত হয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে মৃত্যু সে সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে। সামরিক-বেসামরিক মিলিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মোট ৪ লাখ ৫ হাজার ৪শ মার্কিন নাগরিক নাগরিক মারা গিয়েছিলেন। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যমতে, বুধবার পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৪ লাখ ১৫ হাজার ৮৯৪।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার অভিষেকের দিন সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘এই অন্ধকার শীত জুড়ে আমাদের শক্তি ধরে রাখতে হবে। আমরা সম্ভবত ভাইরাসের সবচেয়ে কঠিন ও মারাত্মক সময়ে প্রবেশ করছি।’
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে এখনো শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় আড়াই কোটি। বাইডেন তার প্রশাসনে মহামারি মোকাবিলাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেবেন বলে জানিয়েছেন।
বাইডেন প্রশাসন একশ দিনে ১০ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এদিকে, করোনা মোকাবিলায় বুধবার কারিগরি অবকাঠামোগত সহযোগিতা প্রদানের প্রস্তাব দিয়েছে ই-কমার্স জায়ান্ট আমাজন।
বাইডেনের করোনা মোকাবিলার প্রধান সমন্বয়ক জেফ জিয়েন্টস জানান, পূর্বসূরী ট্রাম্পের নীতি বদলে যুক্তরাষ্ট্র আবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় যোগ দেবে। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্বাহী বোর্ডের সভায় একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন চিকিৎসক অ্যান্থনি ফাউচি।
ব্রিটেনে করোনাভাইরাসের নতুন ধরনটির সংক্রমণ সম্পর্কে বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নতুন তথ্য জানানোর পরপরই যুক্তরাষ্ট্র থেকে এই ঘোষণা এলো। বুধবার সংস্থাটি জানায়, ব্রিটেনে পাওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরনটি ৬০ টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া ধরনটি ছড়িয়েছে ২৩টি দেশে।
এদিকে, দুটি গবেষণার ফলাফলে ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন ব্রিটেনের নতুন ধরনের করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
নতুন ধরনের ভাইরাসের কারণে ব্রিটেনে সংক্রমণ সম্প্রতি ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্রিটিশ সরকারের প্রধান বিজ্ঞানী প্যাট্রিক ভ্যালান্স বলেন, ‘আপনি যখন একটি হাসপাতালে ঢুকবেন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে এটা মনে হবে একটা যুদ্ধ অঞ্চল।’
সূত্রঃ এএফপি, স্কাই নিউজ
এমকে/জেআইএম