বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০ কোটি ছাড়াল
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১০ কোটি ২ লাখ ৭৯ হাজার ৮৪৯ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ২১ লাখ ৪৯ হাজার ৩৮১ জনের। এই মহামারির কবল থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন সাত কোটি ২২ লাখ ৮৮ হাজার ২৩০ জন।
মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনা মহামারিতে এ পর্যন্ত বিশ্বের ২১৯টি দেশ ও অঞ্চল আক্রান্ত হয়েছে।
বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে করোনায় সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দুই কোটি ৫৮ লাখ ৬১ হাজার ৫৯৭ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন চার লাখ ৩১ হাজার ৩৯২ জন আর সুস্থ হয়েছেন এক কোটি ৫৬ লাখ ১৭ হাজার ৩৬০ জন।
ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। দেশটিতে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন এক কোটি ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৭১০ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন এক লাখ ৫৩ হাজার ৬২৪ জন আর সুস্থ হয়েছেন এক কোটি ৩ লাখ ৪৫ হাজার ২৭৮ জন।
করোনা সংক্রমণের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে আছে ব্রাজিল। সেখানে করোনায় সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৮৮ লাখ ৭২ হাজার ৯৬৪ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন দুই লাখ ১৭ হাজার ৭১২ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৭৭ লাখ ৯ হাজার ৬০২ জন।
তালিকায় রাশিয়ার অবস্থান চতুর্থ, যুক্তরাজ্য পঞ্চম, ফ্রান্স ষষ্ঠ, স্পেন সপ্তম, ইতালি অষ্টম, তুরস্ক নবম ও জার্মানি রয়েছে দশম অবস্থানে। তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৩১তম।
এছাড়া, ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীনে বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৯ হাজার ১৯৭ জন। এর মধ্যে চার হাজার ৬৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চীনে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় গত বছরের বছরের ৯ জানুয়ারি। ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে ধীরে ধীরে বিভিন্ন দেশে এই মহামারি ছড়িয়ে পড়ে।
করোনার প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গত ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে। এরপর গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সৃষ্ট কোভিড-১৯-কে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
এসএস/জেআইএম