উহানের বাজার পরিদর্শন করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৩৯ পিএম, ৩১ জানুয়ারি ২০২১

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বিশেষজ্ঞরা রোববার চীনের উহান শহরের একটি বাজার পরিদর্শন করেছেন। এক বছরের বেশি সময় আগে এই সামুদ্রিক খাদ্যের বাজার থেকেই করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল।

সেখানে উপস্থিত থাকা এএফপির সাংবাদিকরা জানান, বিশেষজ্ঞ দলের সদস্যরা হুয়ানানের সামুদ্রিক খাদ্যের বাজার পরিদর্শন করেছেন। গত বছরের জানুয়ারি থেকেই ওই বাজারটি বন্ধ রয়েছে। ব্যারিকেড দেয়া পথের মধ্য দিয়ে বিশেষজ্ঞরা সেখানে প্রবেশ করেন। তাদের প্রবেশের পর দ্রুত অন্যদের প্রবেশ বন্ধ করে দেন নিরাপত্তাকর্মীরা।

করোনাভাইরাসের উৎস সন্ধানে দীর্ঘ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা হুয়ানানের বাজারে যান। তারা চীনা কর্তৃপক্ষের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।

তাদের পরিদর্শনের সময় নিরাপত্তাকর্মীরা বাইরে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের চলে যেতে বলেন। ভালো ছবি পাওয়ার জন্য একজন ফটোগ্রাফার একটি মইতে উঠলে নিরাপত্তা কর্মীরা তাতে ধাক্কা দেন।

বিশেষজ্ঞদের তদন্তে যে সুযোগ দেয়া হয়েছে তাতে তারা সন্তুষ্ট কিনা এমন প্রশ্ন করা হলে একজন সদস্য বৃদ্ধাঙ্গুল উচিয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন।

চলতি সপ্তাহের শুরুতে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে যেখানে করোনা প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্র হিসেবে হুয়ানানের গুরুত্বকে খাটো করে দেখানো হয়। সেখানে আরও দাবি করা হয়, অনুসন্ধান অনুযায়ী বাজারটি প্রাদুর্ভাবের উৎস নয়।

রোববার সকালে ডব্লিউএইচও’র বিশেষজ্ঞরা উহানের আরেকটি জায়গা পরিদর্শন করেন। এটি বাইশাঝোউ এর বিশাল পাইকারি বাজার। প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার পর এখানে ব্যবসা ধসে পড়েছিল।

বিশেষজ্ঞরা সেখানে প্রবেশ করলে একজন বলে ওঠেন, ‘কোনো আমদানিকৃত হিমায়িত পণ্য প্রদর্শনের অনুমতি নেই, কোনো হিমায়িত পণ্য আলাদাভাবে বিক্রির অনুমতি নেই।’

শনিবার উহানে বিশেষজ্ঞদের প্রবেশ পথে দেখানো হচ্ছিল কীভাবে সেখানকার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ শহরের জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে এবং সঙ্কট নিরসনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর মাধ্যমে একযোগে কাজ করছে।

উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে যখন করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় তখন চীন এই প্রাদুর্ভাবকে গুরুত্ব দেয়নি। একই সঙ্গে তারা তথ্য গোপনের চেষ্টা করেছে এমন অভিযোগ চীনের ভেতরে ও আন্তর্জাতিক, দুই মহল থেকেই এসেছে।

এমকে/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।