ব্যক্তিমালিকানাধীন ব্যবসার অনুমতি দিচ্ছে কিউবা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৩১ পিএম, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১

রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত অর্থনীতি পুনর্গঠন করতে অধিকাংশ শিল্পে ব্যক্তিমালিকানাধীন ব্যবসার অনুমতি দিচ্ছে কিউবা। খবর বিবিসির।

দেশটির শ্রমমন্ত্রী মার্তা এলেনা ফেইটো বলেছেন, অনুমোদিত শিল্পের তালিকা ১২৭ থেকে ২ হাজার পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। অল্পকিছু শিল্প শুধু রাষ্ট্রের অধীনে থাকবে।

করোনাভাইরাস মহামারি ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে ট্রাম্প আরোপিত অর্থনৈতিক অবরোধের ফলে কিউবার অর্থনীতি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত বছর দেশটির অর্থনীতি ১১ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে যা তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। কিউবার অধিবাসীরা এখন মৌলিক চাহিদাগুলোই মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন।

ফেইটো বলেন, ব্যক্তিগত সম্পৃক্ততা থেকে মাত্র ১২৪টি শিল্প বাদ যাবে। তবে এগুলো কোনগুলো তা উল্লেখ করেননি তিনি।

বিবিসির প্রতিবেদক উইল গ্র্যান্ট বলেন, বিশেষজ্ঞদের মতে এর ফলে সেখানকার সকল ধরণের অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ ব্যক্তিগত উদ্যোগের জন্য উন্মুক্ত হবে। তিনি আরও বলেন, যেসব পরিবার বা ব্যক্তি তাদের ছোট ব্যবসাগুলো মাঝারি পর্যায়ে উন্নীত করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য এটি বেশ উল্লেখযোগ্য একটি সুযোগ।

কিউবায় যেসব হাজার হাজার ছোট ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিতগুলো বাদে বাকি ব্যক্তিমালিকানাধীন ছোট ব্যবসাগুলো চালান মূলত কারিকর, ট্যাক্সি ড্রাইভার ও দোকানদাররা। সুযোগ যখন দেয়া হয় তখন এতে মোট শ্রমশক্তির ১৩ শতাংশ- অর্থাৎ ছয় লাখ মানুষ বেসরকারি খাতে যোগ দেন।

ব্যক্তিমালিকানাধীন ব্যবসার একটি বড় অংশই কিউবার পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু মহামারি ও অবরোধের কারণে তা বেশ কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। অর্থনৈতিক পুনর্গঠন দেশটিতে ধীরে ধীরে শুরু হয়েছে। তাই দৈনন্দিন জীবনে এই পরিবর্তন দৃশ্যমান হতে কিছুটা সময় লাগবে।

কিউবার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ৬০ বছরের বৈরী সম্পর্ক চলছে। তবে ২০১৫ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা কিউবার নেতা রাউল ক্যাস্ট্রোর সঙ্গে দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সম্মত হয়েছিলেন। এর ফলে মার্কিন নাগরিকদের কিউবা ভ্রমণ ও সেখানকার স্থানীয় ব্যবসাকে শক্তিশালী করার সুযোগ তৈরি হয়। কিন্তু ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে ওবামার এই উদ্যোগ বন্ধ করে দেন।

নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এর আগে বলেছিলেন যে তিনি যুক্তরাষ্ট্র-কিউবা সম্পর্কের উন্নতি চান। তবে এটি তার অগ্রাধিকারের তালিকায় কতটা উপরে আছে তা অনিশ্চিত।

এমকে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।