ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে ব্রিটেনে ঢুকলে হোটেল কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক
করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের ফলে উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে এমন দেশগুলো থেকে আগত যাত্রীদের জন্য যুক্তরাজ্যে হোটেল কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। করোনার নতুন ধরনের সংক্রমণরোধে দেশটি এ পদক্ষেপ নিয়েছে যা সোমবার থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে। খবর এএফপির।
যুক্তরাজ্য ৩৩টি দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। নতুন নিয়মের আওয়তায়, এসব দেশ থেকে আসা ব্রিটিশ নাগরিক ও যুক্তরাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দাদের দেশে ফেরত আসার পর অনুমোদিত হোটেলে ১০ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে এবং একাধিকবার করোনাভাইরাস পরীক্ষা করাতে হবে।
কথিত ‘লাল তালিকায়’ থাকা এসব দেশগুলোর অন্যান্য দর্শনার্থীদের এ মূহূর্তে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলো, দক্ষিণ আফ্রিকা ও পর্তুগাল।
যুক্তরাজ্যে ভ্রমণের আগে ১০ দিনের মধ্যে লাল তালিকার কোনো দেশে অবস্থান করলে সেই তথ্য যদি কোনো যাত্রী গোপন করে তাহলে তাকে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেয়া হতে পারে। তবে অতিরিক্ত কঠোরতার অভিযোগে লকডাউনের এই নতুন আইন নিয়ে সমালোচনা চলছে।
সরকার জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের বিমানবন্দরগুলোর কাছাকাছি অবস্থানের ১৬টি হোটেলের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। এর ফলে কোয়ারেন্টাইনের জন্য পাঁচ হাজার রুম নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া আরও ৫৮ হাজার রুম প্রস্তুত রাখা হবে।
ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আজ থেকে যে নতুন নিয়ম কার্যকর হতে যাচ্ছে তা কোয়ারেন্টাইন পদ্ধতিকে আরও জোরদার করবে এবং ভাইরাসের নতুন ধরনের বিরুদ্ধে সীমান্তে নিরাপত্তায় আরেকটি স্তর যোগ হবে।’
১১ রাতের এই কোয়ারেন্টাইনে যাত্রীদের ১ হাজার ৭৫০ পাউন্ড বা ২ হাজার ৪২০ ডলার খরচ করতে হবে। এই প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে পরিবহন, খাবার, থাকার জায়গা ও নিরাপত্তার খরচ।
এছাড়া যুক্তরাজ্যে ভ্রমণের আগে তিন দিনের মধ্যে যাত্রীদের করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ ফলাফল থাকতে হবে এবং রওনা হওয়ার আগে এই প্যাকেজ নিশ্চিত করে মূল্য পরিশোধ করতে হবে। এরপর যুক্তরাজ্যে পৌঁছে কোয়ারেন্টাইনের দ্বিতীয় ও অষ্টম দিনে আবারো করোনা পরীক্ষা করাতে হবে।
এমকে/জেআইএম