ফাইজারের ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেরি করে দিতে গবেষকদের আহ্বান
ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগে দেরি করতে সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দুই গবেষক। প্রথম ডোজ নেয়ার পর ভ্যাকসিনটির দ্বিতীয় ডোজের কার্যকারিতা ৯২.৬ শতাংশ ছিল বলে জানিয়েছেন তারা।
গবেষক দানুতা স্কোরোনস্কি ও গ্যাসটন ডি সেরেস বলেছেন, ফাইজার যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনে (এফডিএ) যে তথ্য জমা দিয়েছিল সেটির ভিত্তিতেই তারা এই ফলাফল পেয়েছেন।
প্রথম ডোজের পর ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কত দিন পর্যন্ত থাকে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকতে পারে বলে তারা সতর্ক করে দিয়েছেন। তবে তারা বলেন, প্রথম ডোজের এক মাস পরে দ্বিতীয় ডোজ নিলে সেক্ষেত্রে উপকারিতা সামান্য বেশি পাওয়া যায়।
নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে প্রকাশিত নিবন্ধে তারা বলেন, তাদের পাওয়া এই কার্যকারিতার ফলাফলের সঙ্গে মডার্নার ভ্যাকসিনের কার্যকারিতার মিল রয়েছে। মডার্নার ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ৯২.১ শতাংশ।
যেহেতু ভ্যাকসিন সরবরাহে ঘাটতি রয়েছে, তাই দ্বিতীয় ডোজ এখনই না দিয়ে প্রথম ডোজই আরও বেশি মানুষকে দিতে সরকারগুলোকে পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা। তারা বলেন, ‘এখন ভ্যাকসিন সরবরাহের যে ঘাটতি রয়েছে, তাতে দেরি করে দ্বিতীয় ডোজ দেয়াটা একটি জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়। যদি এটি উপেক্ষা করা হয়, তাহলে নিশ্চিতভাবে এই শীতে করোনাভাইরাসের কারণে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যু হাজার হাজার হবে।’
এর প্রতিক্রিয়ায় ফাইজার জানায়, ভ্যাকসিন প্রয়োগের বিকল্প পদ্ধতি সম্পর্কে এখনো মূল্যায়ন করা হয়নি এবং এই সিদ্ধান্ত নিতে পারবে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
কোম্পানিটির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, ‘আমরা বিশ্বাস করি, ভ্যাকসিনের সম্ভাব্য সর্বোচ প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করতে বিকল্প ডোজের সময়সূচীর ওপরে নজরদারি রাখা স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের জন্য কঠিন হবে।’
সূত্র : রয়টার্স
এমকে/এমএস