পশ্চিমবঙ্গে একদিনে রেকর্ড ১৩৬ মৃত্যু
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে করোনায় একদিনে ১৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা রাজ্যে এ পর্যন্ত একদিনে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু। শুক্রবার (২৪ মে) স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা আবারও প্রায় ২১ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। এর মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনায় নতুন করে চার হাজারের বেশি শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় চার হাজার। আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়তে থাকায় সংক্রমণের মোট হার পৌঁছেছে নয় দশমিক ৬৮ শতাংশে, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
শুক্রবার রাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিবৃতি অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মৃত ১৩৬ জন করোনা রোগীর মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা এবং কলকাতার বাসিন্দা যথাক্রমে ৪২ ও ৩৪ জন। এ ছাড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১২, দার্জিলিংয়ে ছয়, হাওড়া, হুগলি এবং বীরভূমে পাঁচ করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। জলপাইগুড়ি, নদিয়া, বাঁকুড়া এবং দুই দিনাজপুরে চারজন করে আক্রান্ত করোনার শিকার হয়েছেন। মুর্শিদাবাদে তিন এবং পশ্চিম বর্ধমানে দুইজন করোনায় মারা গেছেন। পূর্ব মেদিনীপুর এবং পূর্ব বর্ধমানে একজন করে আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত রাজ্যে ১২ হাজার ৯৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের বরাতে আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজার ৮৪৬ জন। এর মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনায় চার হাজার ১৯৭ জন এবং কলকাতায় তিন হাজার ৯৫৫ জন। এ ছাড়া হাওড়ায় এক হাজার ২৬৬, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এক হাজার ২২৫, হুগলিতে এক হাজার ২৫১, নদিয়ায় এক হাজার ২৫, পূর্ব মেদিনীপুরে ৯৯৩, পশ্চিম বর্ধমানে ৯৪১, পূর্ব বর্ধমানে ৬৮০, বীরভূমে ৮৪২, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৭৫৯, দার্জিলিংয়ে ৬৬৫, মুর্শিদাবাদে ৫৯৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত রাজ্যে ১০ লাখ ৯৪ হাজার ৮০২ জনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াল বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
এর আগে বৃহস্পতিবারের বিবৃতিতে সংক্রমণের দৈনিক হার ছিল ২৮ দশমিক ৯১ শতাংশ। তবে শুক্রবার তা বেড়ে ২৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ হয়েছে। সংক্রমণ রুখতে টিকাকরণ এবং করোনা টেস্টের ওপর জোর দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। শুক্রবার সকাল ৮টায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭৫২ জনকে টিকা দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে, রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, একদিনে ৭০ হাজার ৫১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
ইএ/এমকেএইচ