অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়ায় লকডাউন বাড়ল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৫৭ পিএম, ০২ জুন ২০২১

অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যে আরও এক সপ্তাহ লকডাউন বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে করোনা সংক্রমণের গতি রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে চলমান লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়াচ্ছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। খবর বিবিসির।

কর্মকর্তারা বলছেন, মেলবোর্নে বি.১.৬১৭.১ নামে করোনার নতুন একটি ধরন শনাক্ত হয়েছে। করোনার এই নতুন ধরনটি খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনার নতুন এই ধরনটির নাম দিয়েছে কাপ্পা।

অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজ্য ভিক্টোরিয়ায় আগামী ১০ জুন পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানো হয়েছে। করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ওই রাজ্যে চারবার লকডাউন জারি করা হলো।

বুধবার ওই রাজ্যে স্থানীয়ভাবে ছয়টি নতুন কেস শনাক্ত হয়েছে। ওই রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত প্রধান জেমস মেরলিনো বলেন, আমি জানি এটা এমন একটি খবর যা কেউ শুনতে চান না। কিন্তু যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে সরকারের আর কোনো উপায় নেই।

তিনি বলেন, যদি আমরা এটা না করি, পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে। সংক্রমণের গতি রোধ করা যাবে না এবং লোকজন আক্রান্ত হয়ে মারা যাবে।

গত ২৭ মে থেকে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ লকডাউনের আওতায় জীবন-যাপন করছেন। ভিক্টোরিয়ার রাজধানী মেলবোর্নে লোকজনকে আরও এক সপ্তাহ লকডাউন মেনে চলতে হবে। কেনাকাটা, ব্যায়াম বা অন্যান্য জরুরি কাজ ছাড়া সবাইকে অবশ্যই বাড়িতে অবস্থান করতে হবে অথবা ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে হবে।

কোনো ধরনের জনসমাগমে অনুুমতি দেয়া হয়নি। কিছু ক্ষেত্রে কড়াকড়ি শিথিল করা হয়েছে। বাড়ি থেকে ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত ভ্রমণের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এছাড়া উপরের ক্লাসের শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার অনুমতি দেয়া হয়েছে।

রাজধানী শহরের বাইরে অবস্থিত শহরগুলোতে কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল হয়েছে। সীমিত সংখ্যক মানুষকে সমবেত হওয়া এবং রেস্টুরেন্ট খোলার অনুমতি দেয়া হয়েছে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়ায় এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজার ১২৬। এর মধ্যে মারা গেছে ৯১০ জন। তবে ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ২৯ হাজার ৮৯ জন। বর্তমানে সেখানে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ১২৭।

টিটিএন/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।