১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের ভ্যাকসিন দেবে ফ্রান্স
অডিও শুনুন
১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী সবাইকে আগামী ১৫ জুন থেকে ভ্যাকসিন দেবে ফ্রান্স। দেশটির প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এক বিবৃতি এই ঘোষণা দিয়েছেন। ফলে কমবয়সীরাও এখন ভ্যাকসিনের আওতায় আসছে।
দক্ষিণ ফ্রান্সের সেন্ট-কার্ক-লেপোপি গ্রামে সফরকালে ম্যাক্রোঁ এটা পর্যবেক্ষণ করেছেন যে, ফ্রান্সের ৫০ শতাংশ প্রাপ্ত বয়স্ক এখন পর্যন্ত অন্তত ভ্যাকসিনের একটি ডোজ গ্রহণ করেছে। তিনি এটাকে সত্যিকার অর্থেই দেশের জন্য 'টার্নিং পয়েন্ট' হিসেবে দেখছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে ফ্রান্সে ভ্যাকসিন সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে পূর্বনির্ধারিত সময়ের আগে চলতি সপ্তাহেই আরও বেশি সংখ্যক প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে।
ফ্রান্সে ইতোমধ্যেই করোনার তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গেছে। ম্যাক্রোঁ সরকার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে যেন দ্রুত বেশি মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা সম্ভব হয়। এর ফলে সংক্রমণের গতি রোধ করা যাবে বলেই আশা করা হচ্ছে।
কম বয়সীদের ভ্যাকসিনের আওতায় আনার বিষয়ে অনেক দেশেই বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। কারণ অধিকাংশ বিশেষজ্ঞের মতে, করোনার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছেন বয়স্করা। তাই তাদেরই সবার আগে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা প্রয়োজন।
প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিষয়ে লোকজনকে আরও বেশি সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ম্যাক্রোঁ। বাড়ির বাইরে গেলে অবশ্যই ফেস মাস্ক ব্যবহার করা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
গত ডিসেম্বরে করোনায় আক্রান্ত হন ৪৩ বছর বয়সী ম্যাক্রোঁ। গত সোমবার ম্যাক্রোঁ ঘোষণা দেন যে, তিনি এবং তার স্ত্রী করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন।
এদিকে ফ্রান্সে তৃতীয় দফায় দেশজুড়ে লকডাউন চলছে। তবে লকডাউন কিছুটা শিথিল করায় রেস্টুরেন্ট এবং ক্যাফের বাইরে গ্রাহকদের খাবার পরিবেশনের অনুমতি পেয়েছে। আগামী ৯ জুন থেকে রেস্টুরেন্ট বা ক্যাফের ভেতরে বসেই খাওয়া-দাওয়া করা যাবে।
করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। এই তালিকায় ফ্রান্সের অবস্থান ৪র্থ। ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান বলছে, দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৫৬ লাখ ৮৫ হাজার ৯১৫। এর মধ্যে মারা গেছে ১ লাখ ৯ হাজার ৭৫৮ জন। তবে ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ৫৩ লাখ ৭১ হাজার ৮০৫ জন।
টিটিএন/জেআইএম