কোভিশিল্ড টিকাগ্রহীতাদের ইউরোপ ভ্রমণে জটিলতা কাটেনি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৪১ এএম, ১৭ জুলাই ২০২১
ফাইল ছবি

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রযুক্তিতে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের উৎপাদিত করোনাভাইরাসরোধী টিকা কোভিশিল্ড গ্রহীতাদের ইউরোপ ভ্রমণে জটিলতা এখনো কাটেনি। কারণ ওই টিকা অনুমোদনের জন্য কোনো আবেদনই হাতে পায়নি ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ।

ইউরোপীয় ওষুধ সংস্থা (ইএমএ) গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নে ব্যবহারের জন্য কোভিশিল্ড মূল্যায়নে উৎপাদককে ইএমএ’র কাছে একটি আনুষ্ঠানিক বিপণন অনুমোদনের আবেদন জমা দিতে হবে, যা আজ অবধি পাওয়া যায়নি।

ইএমএ এর আগে জানিয়েছিল, উৎপাদন প্রক্রিয়ার সামান্য ভিন্নতা চূড়ান্ত পণ্যটিতে বড় পার্থক্য তৈরি করতে পারে। আর ইইউর আইন অনুসারে, পণ্যটি অনুমোদনের অংশ হিসেবে মূল্যায়ন আবশ্যক।

ইউরোপীয় ওষুধ সংস্থা এযাবৎ মাত্র চারটি টিকা ব্যবহারকারীদের মহামারির সময় ইউরোপে মুক্তভাবে চলাচলের অনুমতি দিয়েছে। টিকাগুলো হচ্ছে- ফাইজার-বায়োএনটেকের কমিরন্যাটি, মডার্নার স্পাইকভ্যাক্স, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাক্সজেভ্রিয়া এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের জ্যানসেন।

Covishield-2.jpg

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রযুক্তিতে উৎপাদিত এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) কাছ থেকে পাওয়া জরুরি ব্যবহারের অনুমতি থাকলেও এখনো ইএমএ অনুমোদিত টিকার তালিকায় ঠাঁই হয়নি কোভিশিল্ডের। গত ফেব্রুয়ারিতে সিরামের উৎপাদিত এই টিকা জরুরি ব্যবহারে অনুমোদন দিয়েছিল ডব্লিউএইচও। এই তালিকায় এখন পর্যন্ত মাত্র সাতটি টিকার নাম রয়েছে।

এদিকে, ইএমএ’র অনুমোদন না পাওয়ায় কোভিশিল্ড টিকা গ্রহণকারীদের ইউরোপ ভ্রমণে জটিলতা দেখা দিয়েছে। অর্থাৎ, দেশ ভেদে কোভিশিল্ড টিকাগ্রহীতাদের ইউরোপ প্রবেশ নিষিদ্ধ অথবা প্রবেশ করতে পারলেও বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন নীতি অনুসরণ করতে হচ্ছে।

সিরামের প্রধান নির্বাহী আদর পুনেওয়ালা গত মাসে বলেছিলেন, তিনি ইউরোপে কোভিশিল্ড অনুমোদনের বিষয়টি ‘সর্বোচ্চ পর্যায়ে’ নিয়ে যাচ্ছেন এবং এই জটিলতা শিগগিরই অবসান হবে বলে আশাবাদী।

সূত্র: এনডিটিভি

কেএএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।