ফাইজারের টিকা কিশোর-কিশোরীদের দেহে বেশি কার্যকর
ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি করোনারোধী টিকা কিশোর-কিশোরীদের শরীরে বেশি কার্যকর এবং তাদের তুলনামূলক বেশি দিন করোনা থেকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম। ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের ওপর পরিচালিত শেষ পর্যায়ের এক গবেষণায় এমনটি দেখা গেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠানটি। খবর রয়টার্সের।
সোমবার (২২ নভেম্বর) ফাইজার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের দুই ডোজ টিকা নেওয়া কিশোর-কিশোরীদের টানা চার মাসের বেশি পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, সেটি করোনা প্রতিরোধে শতভাগ কার্যকর ছিল।
দীর্ঘমেয়াদী পরীক্ষার এই ফলাফল যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা বিশ্বে বিভিন্ন বয়সীদের টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ অনুমোদনের পরিকল্পনায় সমর্থন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। ফাইজার ও তার জার্মান অংশীদার বায়োএনটেক ১২ থেকে শুরু করে এর বেশি বয়সীদের শরীরে ৩০ মাইক্রোগ্রাম ডোজ দেওয়ার অনুমতি চাইবে বলে জানা গেছে।
গত মে মাসে ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের জন্য ফাইজারের টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রধান (এফডিএ)। এরপর গত আগস্টে ১৬ বছর বয়সোর্ধ্বদের শরীরে ব্যবহারের পূর্ণাঙ্গ অনুমোদন পায় এটি।
এর আগে, গত অক্টোবরে ফাইজার জানিয়েছিল, পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে তাদের টিকা ৯০ শতাংশের বেশি কার্যকর। গত ৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২ হাজার ২৫০ শিশুর ওপর চালানো পরীক্ষায় দেখা গেছে, দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার এক সপ্তাহ পর তাদের শরীরে ৯০ দশমিক ৭ শতাংশ করোনাপ্রতিরোধী অ্যান্টিবডির অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে।
প্রাপ্তবয়স্কদের শরীরে সাধারণত ৩০ মাইক্রোগ্রাম টিকা প্রয়োগ করা হয়। তবে শিশুদের শরীরে মাত্র ১০ মাইক্রোগ্রাম টিকা প্রয়োগ করা হয়েছিল।
কেএএ/জিকেএস