ফ্রান্স-জার্মানি-অস্ট্রিয়া-ইতালিতে করোনা টিকাবিরোধী বিক্ষোভ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:১৮ পিএম, ০৯ জানুয়ারি ২০২২
ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার বিরুদ্ধে পশ্চিম ইউরোপে হাজার হাজার মানুষ রাস্তা দখল করে বিক্ষোভ করেছেন। ফ্রান্সে এক লাখের বেশি মানুষ সরকারের বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। বিক্ষোভকারীরা বলেন, সরকার টিকা না নেওয়াদের অধিকার খর্ব করতে চায়। রোববার (৮ জানুয়ারি) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

রাজধানী প্যারিসে শনিবার তীব্র শীত ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে মাস্ক ছাড়াই বিক্ষোভ করা হয়। এ সময় তাদের প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল ‘সত্য’, ‘স্বাধীনতা’ ও ‘টিকার পাসের কোনো প্রয়োজন নেই’।

jagonews24

শুক্রবার ফ্রান্সে একদিনে তিন লাখের বেশি করোনা শনাক্ত হয়। দেশটির সংসদের নিম্নকক্ষ এরই মধ্যে করোনার বিধিনিষেধ সম্পর্কিত একটি আইন পাস করেছে। যাতে বলা হয়, বাইরে খাওয়া-দাওয়া, ভ্রমণ, বাস-ট্রেনে যাতায়াত ও কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে হলে দুই ডোজ টিকা নেওয়ার প্রমাণ দেখাতে হবে।

ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানায়, বিক্ষোভ থেকে ২৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাছাড়া এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। রাজধানী ছাড়াও ফ্রান্সের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে।

অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ৪০ হাজারের বেশি মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। সেখানে আগামী মাস থেকে টিকা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, বিক্ষোভ অনেকটাই শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে।

jagonews24

জার্মানির বিভিন্ন শহরে টিকা বিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে হামবুর্গে। সেখানে ১৬ হাজার মানুষ অংশ নেয় বলে জানায় দেশটির পুলিশ।

দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী কার্ল লাউটারবাখ বলেন, টিকা বিরোধীরা ও করোনাভাইরাস অস্বীকারকারীদের যুক্তিগুলো সব দিক থেকেই গুরুত্ব হারিয়েছে।

টিকার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে ইতালিতেও। দেশটির তুরিন শহরে করোনা নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন শত শত মানুষ। দেশটিতে কঠোর নিয়ম চালু হবে সোমবার থেকে। বলা হয়েছে যারা টিকা নেয়নি তারা আর গণপরিবহন ও রোস্তোরাঁয় যেতে পারবেন না।

এমএসএম/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।