বিদেশি পার্সেল থেকে ছড়াতে পারে ওমিক্রন, সতর্ক করলো চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:৫১ পিএম, ১৮ জানুয়ারি ২০২২
ছবি : সংগৃহীত

বিদেশ থেকে আসা পার্সেল খোলার সময় সবাইকে মাস্ক ও গ্লাভস পরার অনুরোধ জানিয়েছে চীন। এ ধরনের পার্সেলের মাধ্যমে ওমিক্রন করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে তারা। দেশটিতে শনাক্ত প্রথম ওমিক্রন রোগী এভাবেই আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছে চীনা কর্তৃপক্ষ। খবর রয়টার্সের।

সোমবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভি দেশটির জনগণকে বিদেশি পণ্য কেনা বা বিদেশ থেকে পার্সেল গ্রহণ কমিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলেছে, সামনাসামনি পণ্য ডেলিভারি নেওয়ার সময় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে ভুলবেন না। অবশ্যই মাস্ক ও গ্লাভস পরুন। প্যাকেজ ঘরের বাইরে খোলার চেষ্টা করুন।

China-3

চীনা কর্মকর্তারা বলেছেন, বেইজিংয়ে প্রথমবার যার শরীরে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছিল, ওই ব্যক্তি কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্র-হংকং হয়ে আসা একটি প্যাকেজ খুলেছিলেন। ফলে সেখান থেকেই ওমিক্রনে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এ ঘটনা ‘ব্যক্তিগত সুরক্ষা’র গুরুত্ব তুলে ধরছে বলে উল্লেখ করেছে সিসিটিভি।

শুধু বিদেশিই নয়, দেশি পার্সেল হস্তান্তরের ক্ষেত্রেও একই ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন (এনএইচসি)। বিদেশ থেকে আসা পার্সেলগুলো যথাযথভাবে জীবাণুমুক্ত করা এবং ডেলিভারি কর্মীদের সবার পূর্ণডোজ টিকা নেওয়ার বিষয়ে জোর দিচ্ছে চীনা কর্তৃপক্ষ।

China-3

বিদেশ থেকে মাছ-মাংসের মতো আমদানি করা হিমায়িত পণ্যের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আগেই সতর্ক করেছিল চীন। যদিও এ ধরনের ঝুঁকি খুব কম বলে মন্তব্য করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাছাড়া, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে উহানে প্রথমবার করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার আগেই ভিনদেশে এর অস্তিত্ব ছিল বলে বারবার প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ।

সম্প্রতি দেশটির কয়েকটি শহরে নতুন করে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। ওমিক্রনের বিস্তার ঠেকাতে সেসব এলাকায় এরই মধ্যে কঠোর বিধিনিষেধ ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

কেএএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।