যুক্তরাষ্ট্রে মাঙ্কিপক্সে প্রথম মৃত্যু
যুক্তরাষ্ট্রে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ওই ব্যক্তি লস অ্যাঞ্জেলসের বাসিন্দা। যুক্তরাষ্ট্রে এই ভাইরাসে এটাই প্রথম মৃত্যুর ঘটনা। স্থানীয় সময় সোমবার কাউন্টির জনস্বাস্থ্য বিভাগ এ তথ্য জানিয়েছে।খবর সিএনএনের।
কাউন্টির জনস্বাস্থ্য বিভাগ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) মাঙ্কিপক্সে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, ওই ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম ছিল। তাকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানায়নি কাউন্টির জনস্বাস্থ্য বিভাগ। এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত সন্দেহ হলে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে হবে। অসুস্থতার সময়গুলোতে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ২২ হাজার কেস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কিছু ব্যক্তির সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সিডিসি জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত মাঙ্কিপক্সে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ায়। সেখানে ৪ হাজার ৩শ কেস শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫৮ হাজার কেস শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
নাক, মুখ, চোখের পাশাপাশি আক্রান্তের পোশাক থেকে সংক্রমিত হতে পারে এই ভাইরাস। এই ভাইরাস খুবই সংক্রামক বলে সতর্ক করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি এক বিশেষ ধরনের বসন্ত। জলবসন্ত বা গুটিবসন্তের প্রতিকার থাকলেও এই ভাইরাস এতই বিরল যে, এখনো পর্যন্ত এর নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসাপদ্ধতি জানতে পারেননি চিকিৎসকরা। মূলত পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার কিছু দেশে এই ভাইরাসের খোঁজ মেলে। তবে নাম ‘মাঙ্কিপক্স’ হলেও একাধিক বন্যপ্রাণির মাধ্যমে ছড়াতে পারে এই ভাইরাস। এটি সবচেয়ে বেশি ছড়ায় ইঁদুরের মাধ্যমে।
এই ভাইরাসের উপসর্গ
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তদের শরীরে প্রাথমিক উপসর্গের মধ্যে জ্বর, মাথাব্যথা, পিঠ ও গায়ে ব্যথার মতো লক্ষণ থাকে। এ থেকে হতে পারে কাঁপুনি ও ক্লান্তি। এর পাশাপাশি দেহের বিভিন্ন লসিকা গ্রন্থি ফুলে ওঠে। সঙ্গে ছোট ছোট ক্ষতচিহ্ন দেখা দিতে থাকে মুখে। ধীরে ধীরে তা পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, আক্রান্ত ব্যক্তির আশেপাশে থাকা ব্যক্তির মধ্যে সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে এই ভাইরাস। শ্বাসনালি, ক্ষতস্থান, নাক, মুখ কিংবা চোখের মাধ্যমে এই ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে সুস্থ ব্যক্তির দেহে। এমনকি আক্রান্তের ব্যবহার করা পোশাক থেকেও ছড়ায় সংক্রমণ।
টিটিএন