দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন

ফ্রান্সে বাড়ছে স্থূলকায় মানুষের সংখ্যা, দায়ী ফাস্টফুড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:১০ পিএম, ২৭ জানুয়ারি ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে স্থূলতা বা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ওজন একটি গুরুতর সমস্যায় পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোতে এ সমস্যা উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। সম্প্রতি ইউরোপের দেশ ফ্রান্সে স্থূলকায় বা মোটা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।

প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিস্ট বলছে, শিল্প-সাহিত্য ও ফ্যাশনের জন্য জগদ্বিখ্যাত এ দেশটিতে ১৯৯৭ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক স্থূলকায় মানুষের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে ৮০ লাখে পৌঁছেছে। এ সংখ্যা দেশটির প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ১৭ শতাংশ।

যদিও ফ্রান্সের স্থূলতা হার এখনও যুক্তরাষ্ট্র (৪০ শতাংশ), মেক্সিকো (৩৩ শতাংশ) ও যুক্তরাজ্যের (২৬ শতাংশ) তুলনায় বেশ কম। কিন্তু মানসিক স্বাস্থ্যজনিত বিভিন্ন সমস্যা থেকে শুরু করে ডায়াবেটিসের মতো বড় রোগের অন্যতম কারণ হতে পারে স্থূলতা। তাই বিষয়টি নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ফ্রান্সের জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

এরই মধ্যে ফ্রান্সের সরকার স্থূলতার ওপরে বড় ধরনের জরিপ চালাতে লিয়ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি বিভাগের অধ্যাপক মার্টিন লাভিলের অধীনে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে। এটি চলতি বছরের মার্চে সামগ্রিক প্রতিবেদন জমা দেবে।

দ্য ইকোনমিস্ট বলছে, সাধারণত কম আয়ের ফরাসি নাগরিকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্থূলতা লক্ষ্য করা যায়। অন্যদিকে, দেশটিতে পুরুষদের তুলনায় নারীদের মধ্যে স্থূলতার হার বেশি।

অনেকে বলছেন, ডায়েট নিয়ে অসচেতনতা ও ফাস্টফুড খাওয়ার প্রবণতা বেশি হওয়ায় ফ্রান্সের কম আয়ের মানুষের মধ্যে স্থূলতা বাড়ছে। ফরাসি সিনেটের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২০ সালে ফ্রান্সে মাঠ পর্যায়ে বা অপেক্ষাকৃত নিম্নপদে চাকরি করা ব্যক্তিদের মধ্যে স্থূলতার হার ১৮ শতাংশ। আর যারা ব্যবস্থাপক বা এর থেকে উচ্চপদে চাকরি করেন, তাদের মধ্যে স্থূলতার হার ১০ শতাংশেরও নিচে।

জানা যায়, ২০১৭ সালে ফ্রান্স ফ্যাশন শোগুলোতে কৃশকায় বা বেশি চিকন মডেলদের নিষিদ্ধ করেছিল। কিন্তু দেশটির বর্তমান অবস্থা এমন যে, মানুষ কাঙ্ক্ষিত ওজন কমাতে পারলে, তা উদযাপন করে।

মারিয়েন জেমস নামে ১৩৮ কেজি (৩০৪ পাউন্ড) ওজনের এক নারী চলতি সপ্তাহেই নামকরা  একটি ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে মডেল হিসেবে জায়গা করে নেন। তিনি বলেন, অতিরিক্ত ওজন খুব কষ্ট দেয়।

দ্য ইকোনমিস্ট বলছে, বর্তমানে বিভিন্ন ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে স্থূলকায় নারীদের যেসব ছবি দেখা যায়, তা বিরল। এটি হয়েতো ফরাসি সভ্যতার একক কৃতিত্ব।

বিখ্যাত ফরাসি লেখক মিরেইলি গুইলিয়ানো বলেন, ফরাসি নারীরা মোটা হন না- এমন ধারণা এখন আর কাজ করছে না। 

সূত্র: দ্য ইকোনমিস্ট

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।