শিগগিরই ইরানে বিনিয়োগ করতে পারে সৌদি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:০৫ পিএম, ১৫ মার্চ ২০২৩
সৌদির অর্থমন্ত্রী

সম্প্রতি চীনের মধ্যস্থতায় সৌদি আরব ও ইরানে মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছে। এর অধীনে দেশ দুইটি আগামী দুই মাসের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে সম্মত হয়। এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে শুরু হয় আলোচনা। এবার সৌদি আরবের অর্থমন্ত্রী জানালেন, শিগগিরই ইরানে বিনিয়োগ করতে পারে তার দেশ। খবর রয়টার্সের।

সৌদির অর্থমন্ত্রী মোহাম্মাদ আল-জ্যাদান বলেন, ইরানে বিনিয়োগ করার জন্য ব্যাপক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে সৌদির। এক্ষেত্রে চুক্তির মেয়াদ কোনো বাধা হতে পারে না বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন>সৌদি-ইরানকে এক করলো চীন, পশ্চিমাদের মাথাব্যথা

আল-জ্যাদান বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দেশের জনগণের জন্য স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। ইরানে সৌদি আরবে সুবিধার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সৌদি আরবও দেশটিকে সুবিধা দেবে।

প্রায় সাত বছর বন্ধ থাকার পর কয়েকদিন আগে আবারও কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে সম্মত হয়েছে সৌদি আরব ও ইরান। চীনের মধ্যস্থতায় কয়েকদিনের আলোচনার পর অবশেষে দূতাবাস ফের চালু করতে রাজি হয়েছে দুই দেশ। মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিমপ্রধান ও তেলসমৃদ্ধ দুই দেশের এই পুনর্মিলন বিশ্ব ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে তা বলা বাহুল্য।

আরও পড়ুন>সৌদি-ইরানের সম্পর্কের পালে হাওয়া, খুলছে দূতাবাস

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলেছে, সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের ঘোষণাটি আশ্চর্যজনক হলেও প্রত্যাশিত ছিল। কারণ দুটি দেশ প্রায় দু’বছর ধরে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়ে আসছিল।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক ‘উত্তেজনাপূর্ণ’ হয়েছে। অন্যদিকে, বিশ্ব রাজনীতি ও মধ্যপ্রাচ্য চীনের অবস্থান আগের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী হয়েছে। ওয়াশিংটনকে টপকে বেইজিং মধ্যপ্রাচ্যে অভানীয় প্রভাব বিস্তার করার ক্ষমতা দেখিয়েছে।

এমএসএম

 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।