ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় ২ বছরের শিশু নিহত, আহত ২২

ইউক্রেনের দিপ্রো শহরের একটি আবাসিক এলাকায় রাশিয়ার হামলায় দুই বছরের এক শিশু নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ২২ জন। রাশিয়া ওই শহরে বিমান হামলা চালিয়েছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ওই শহরের গভর্নর সেরহি লিসাক জানান, পিধোরোদনেনস্কার একটি বাড়ির ধ্বংসাবশেষের নিচ থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে পাঁচজনই শিশু। এদের মধ্যে তিন শিশুর অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুরে বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা প্রধানদের গোপন বৈঠক
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। সেখানে দেখা গেছে, দুইতলা একটি ভবনে তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। এই হামলার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছেন তিনি। তবে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
এদিকে রাজধানী কিয়েভ থেকেই দফায় দফায় বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাওয়া গেছে। সেখানে আবারও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছে। এর আগে পুরো দেশে এয়ার রেড এলার্ট জারি করা হয়।
দিপ্রো শহরে বিস্ফোরণের ঘটনাকে রাশিয়ার ইচ্ছাকৃত হামলা বলে বর্ণনা করেছেন জেলেনস্কি। যদিও প্রতিবেশী দেশটিতে হামলার শুরু থেকেই রাশিয়া দাবি করে আসছে যে, তারা বেসামরিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে না।
আঞ্চলিক গভর্নরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শহরের উত্তরাঞ্চলের একটি এলাকায় বিমান হামলার কারণে বেশ কিছু স্থানে আগুন লেগেছে। তিনি জানান, বিস্ফোরণে আহত ১৭ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সোমালিয়ায় উগান্ডার ৫৪ সেনা নিহত
দেশের অন্যান্য অংশেও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। রাজধানী কিয়েভের কাছে দফায় দফায় বোমা হামলার কারণে রোববার সকালে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। এর আগে গত শুক্রবার রাশিয়ার সীমান্তে অবস্থিত বেলগোরোদ অঞ্চলে গোলাবর্ষণে দুই নারী নিহত হয়েছেন। ওই অঞ্চলের গভর্নর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বেলগোরোদের গভর্নর ভিয়াচেসলাভ গ্লাদকোভ বলেন, গোলার আঘাতে ওই দুই নারী নিহত হন। তারা মাসলোভা প্রিসতান গ্রামের কাছে একটি গাড়িতে করে যাওয়ার সময় হামলার শিকার হন।
প্রতিবেশী ব্রিয়ানস্ক এবং কুরস্ক অঞ্চলের কর্মকর্তারা জানান, গোলাবর্ষণ এবং ড্রোন হামলায় বেশ কিছু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাতভর সেখানে হামলা চালানো হয়। তবে এসব হামলার বিষয়ে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা কোন মন্তব্য করেননি। যদিও এর আগে সীমান্তে যেসব হামলা চালানো হয়েছে সেগুলোর সঙ্গে কোন সম্পৃক্ততা থাকার কথা অস্বীকার করেছে কিয়েভ। ইউক্রেনের দাবি, রুশ সরকারবিরোধী কিছু গ্রুপ এসব হামলা চালাচ্ছে।
টিটিএন