কবে শান্তি ফিরবে ফ্রান্সে?
ফ্রান্সের দাঙ্গা পরিস্থিতি কিছুটা কমেছে। তবে পুরোপুরি শান্ত হয়নি এখনো। টানা পাঁচদিন ধরে দেশটিতে দাঙ্গা-বিক্ষোভে উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি হয়। এরই মধ্যে শত শত বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার প্যারিসে ট্রাফিক আইন অমান্য করার অভিযোগে নাহেল এম নামে ১৭ বছরের এক কিশোরকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় পুলিশ। ওই কিশোরের হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করেই মূলত দেশটিতে বিক্ষোভের সূত্রপাত।
আরও পড়ুন: ফ্রান্সে সহিংসতা চলছেই
স্থানীয় সময় রোববার (২ জুলাই) রাতে দেড় শতাধিক মানুষকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগের রাতে সাত শতাধিক মানুষ গ্রেফতার হয়। দাঙ্গা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় বিভিন্ন স্থান থেকেই বিক্ষোভ থামানোর আহ্বান জানানো হয়। এমনকি নাহেলের পরিবারও বিক্ষোভকারীদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানায়।
এদিকে সহিংসতা এবং লুটপাটের ঘটনার বিরুদ্ধে টাউন হলের বাইরে র্যালিতে অংশ নিতে লোকজনকে আহ্বান জানিয়েছেন বিভিন্ন শহরের মেয়র। বিক্ষোভের সময় বিভিন্ন শহরের দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সহিংসতার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ২২০টি শহরের মেয়রের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।

বিক্ষোভের তৃতীয় দিনে সারাদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রায় ৪৫ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়। নাহেলের এক স্বজন বিবিসিকে জানিয়েছেন, তারা চান না যে নাহেলের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে পুরো দেশে এমন দাঙ্গা পরিস্থিতি তৈরি হোক। তবে তারা নাহেলের মৃত্যুর বিচার দাবি করছেন। তারা লোকজনকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এর আগে স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে এক হাজার ৩০০ জনের বেশি এবং বৃহস্পতিবার ৯০০ জনের বেশি মানুষকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন: ফ্রান্সে দাঙ্গা: গ্রেফতার ১৩০০
মঙ্গলবার প্যারিসে ট্রাফিক আইন অমান্য করার অভিযোগে নাহেল এম নামের এক কিশোরকে লক্ষ্য করে পুলিশ গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। সেই ঘটনার জেরেই বিক্ষোভ-সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। সরকারের বিরুদ্ধে বর্ণবৈষম্যসহ একাধিক অভিযোগে রাস্তায় নেমে আসে হাজার হাজার মানুষ।
টিটিএন