রাঙামাটিতে ১২০ রোহিঙ্গা পরিবার রয়েছে
রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের ১২০টি বসতঘর চিহ্নিত করা হয়েছে। রোহিঙ্গা গণনা শুমারির প্রথম পর্যায়ে জেলার সাতটি উপজেলায় এসব বাড়িঘর শনাক্ত করা হয় বলে জানিয়েছে জেলা পরিসংখ্যান অফিস।
সূত্র জানায়, এ জেলায় রোহিঙ্গা বসতঘরগুলোর মধ্যে শনাক্ত করা হয়েছে রাঙামাটি সদর উপজেলার পৌর এলাকায় ১৫টি, কাউখালী উপজেলায় ৭২টি, বরকলে ১টি, লঙ্গদুতে ৫টি, কাপ্তাইয়ে ১১টি, বিলাইছড়িতে ১৩টি এবং রাজস্থলীতে ৩টি।
জেলা পরিসংখ্যান বিভাগের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মানবেন্দ্র নারায়ণ দেওয়ান বলেন, চলতি বছর ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে জেলায় রোহিঙ্গা শুমারি শুরু হয়ে প্রথম পর্যায়ে গণনা কার্যক্রম শেষ হয় ২৫ ফেব্রুয়ারি। আগামী এপ্রিল মাসে রোহিঙ্গা জনসংখ্যা তালিকা প্রকাশ করা হবে। রাঙামাটি পার্বত্য জেলার ৭ উপজেলায় ১২০টি বসতবাড়ি চিহ্নিত করা হয়েছে। এপ্রিলে শেষের দিকে বলা যাবে ওইসব বাড়িঘরের রোহিঙ্গা জনসংখ্যা কত।
সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে ১৬ জেলার সঙ্গে রাঙামাটি জেলাতেও অনিবন্ধিত মিয়ানমার নাগরিক শুমারি কার্যক্রম চলে। জেলাকে মোট ১৩টি জোনে ভাগ করে ১০ উপজেলায় শুমারির কাজ চালানো হয়। এতে কাজ করেন জোনাল অফিসার ২৩জন, উপজেলা সমন্বয়কারী ২জন, সুপারভাইজার ৩৫জন এবং মাঠকর্মী ৩৫৫জন।
১২ ফেব্রুয়ারি থেকে রাঙামাটি জেলার ১০টি উপজেলায় ৫০টি ইউনিয়নে এই কার্যক্রম শুরু করা হয় এবং ২৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার মিয়ানমার নাগরিক শুমারির কাজ শেষ হয়।
সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্রটি জানায়, গণনার মাধ্যমে বাংলাদেশের নাগরিক নন, অবৈধভাবে এ দেশে বসবাস করছেন এমন রোহিঙ্গাদের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) পরিচয়পত্র দেবে। এতে নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে রোহিঙ্গাদের। পরিচয়পত্র পাওয়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গারা আইওএম এর পক্ষ থেকে চিকিৎসা সেবা, নিজেদের মাতৃভাষায় পড়ালেখার জন্য আলাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থা ও আইনি সহায়তাসহ মৌলিক সুযোগ-সুবিধা পাবেন। বাংলাদেশে অবস্থানরত অনিবন্ধিত কোনো মিয়ানমার নাগরিক বা রোহিঙ্গা এসব সুযোগ-সুবিধা পাবেন না। তারা বাংলাদেশের অবৈধ নাগরিক বলে গণ্য হবেন।
সুশীল প্রসাদ চাকমা/এফএ/এমএস